আজ রোববার ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফের প্রতিবেদনে ওই ট্যাক্সিচালকের বিবরণ প্রকাশ করা হয়।
লন্ডন ব্রিজ এলাকায় স্থানীয় সময় শনিবার রাতে সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। এতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে সাতজনে পৌঁছেছে। পুলিশের গুলিতে সন্দেহভাজন তিন হামলাকারীও নিহত হয়েছে। ব্রিজের কাছাকাছি বারা মার্কেট এলাকায় সন্দেহভাজন কয়েকজন সন্ত্রাসী ছুরি নিয়ে সাধারণ লোকজনের ওপর হামলা চালায়।
ট্যাক্সিচালক বলেন, হুট করে ভ্যান নিয়ে কোত্থেকে কয়েকজন এসে প্রায় ১২ ইঞ্চি লম্বা ছুরি দিয়ে সাধারণ মানুষকে এলোপাতাড়ি আঘাত করতে থাকে। তিনি বলেন, ‘সে সময় আমি ভাবলাম দৌড়ে গিয়ে হামলাকারীদের পাল্টা আঘাত করব, তাঁদের নিচে ফেলে দেব। এই ভেবে গাড়ি ঘোরানো শুরু করি, হামলাকারী একজনের খুব কাছাকাছি চলে আসা মাত্র পুলিশের তিন সদস্য তাঁদের তাড়া করেন।’
ট্যাক্সিচালক আরও বলেন, ‘সবার উদ্দেশে আমি চিৎকার করে বলছিলাম, এই এলাকা ছেড়ে সবাই দ্রুত সরে যান। অন্য কোনো পথে চলে যান। কেউ কেউ এ কথা শুনে ঘটনাস্থল দ্রুত ত্যাগ করেছিলেন।’
ট্যাক্সিচালক আরও বলেন, ‘সেখানে মানুষ বিক্ষিপ্তভাবে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এমন সময় একটি ভ্যান এসে দাঁড়ায়। ভ্যান থেকে হামলাকারীরা দ্রুত নেমে ছুরি দিয়ে মানুষকে এলোপাতাড়ি আঘাত করতে থাকে।’
ঘটনাস্থলে থাকা জেমস ইয়েটস নামের এক ব্যক্তি বলেন, হামলার সময় পুলিশ কাটজেনজামার্স বিয়ারহলে ঢুকে পড়ে। সেখানে থাকা ক্রেতাদের দ্রুত মেঝেতে শুয়ে পড়তে বলে। সেখানে থাকা এক ব্যক্তির মুখমণ্ডল হামলাকারীর ছুরিকাঘাতে কেটে গিয়েছিল। স্থানীয় সময় রাত ১১টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।
ঘটনার সময় অ্যালেক্স শেলাম নামের এক ব্যক্তি লন্ডন ব্রিজসংলগ্ন দ্য মাডলার্ক পানশালায় ছিলেন। তিনি বলেন, সেখানে রাত ১০টার দিকে ২০ বছরের এক তরুণী ঠিকমতো হাঁটতে পারছিলেন না। কারণ তাঁর মুখ ও নাক দিয়ে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হচ্ছিল।
অ্যালেক্স শেলাম বলেন, ‘কিছুক্ষণ পরে আমরা জানতে পেরেছিলাম, হামলাকারীরা ওই তরুণীর গলা কাটার চেষ্টা করেছিলেন। ঘটনাস্থলে থাকা মানুষেরা ওই তরুণীকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিতে সহায়তা করেছিল। এরপরেই পানশালাটি বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং পুলিশ সবাইকে সেই স্থান ত্যাগ করতে নির্দেশ দেয়।’