আয়না২৪ ডেস্ক
বিচার না করেই ফিলিস্তিনি সাংসদ খালিদা জারারকে ছয়মাস কারাবন্দি রাখার নির্দেশ দিয়েছে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ৷ বিতর্কিত এক আইনের আওতায় আরও দশ ফিলিস্তিনি সাংসদ বর্তমানে ইসরায়েলে বন্দি আছেন৷
জারারের বিরুদ্ধে এমন এক গোষ্ঠীর সঙ্গে সম্পর্ক থাকার অভিযোগ আনা হয়েছে, যেটিকে ইসরায়েল সন্ত্রাসী গোষ্ঠী বলে বিবেচনা করে৷ মানবাধিকার সংগঠন আড্ডামির বুধবার এসব তথ্য জানিয়েছে৷
৫৪ বছর বয়সি জারারকে চলতি মাসের শুরুতে গ্রেপ্তার করা হয়৷ ‘পপুলার ফ্রন্ট ফর দ্য লিবারেশন অফ প্যালেস্টাইন’ বা পিএফএলপি নামের একটি বামপন্থি দলের সদস্য তিনি৷ ইহুদি রাষ্ট্রের সঙ্গে শান্তি স্থাপনের বিরোধিতা করে বলে পিএফএলপিকে ইসরায়েল সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে বিবেচনা করে৷
জারারকে গ্রেপ্তারের সময় ইসরায়েলের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সংস্থা বলেছিল, জারার ‘সন্ত্রাসী কার্যক্রমকে প্ররোচনা’ দিয়ে থাকেন৷ এর বেশি কিছু আর জানায়নি তারা৷
ফিলিস্তিনের কারাবন্দিদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশকারী সংগঠন সামিদুন বলছে, জারারসহ মোট ১১ জন ফিলিস্তিনি সাংসদ বর্তমান ইসরায়েলের কারাগারে বন্দি আছেন৷
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সবসময় কড়া মন্তব্য করায় জারার ফিলিস্তিনিদের কাছে বেশ পরিচিত৷
এর আগেও বেশ কয়েকবার বন্দি হয়েছিলেন জারার৷ তাঁর স্বামী ঘাসান জারারকেও কয়েকবার বন্দি করেছে ইসরায়েল৷ ঘাসান প্রায় ১১ বছর ইসরায়েলের কারাগারে কাটিয়েছেন৷
‘অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ডিটেনশন’ নামে বিতর্কিত এক আইনের মাধ্যমে ইসরায়েল কোনো ব্যক্তিকে ছয় মাস পর্যন্ত বিনা বিচারে আটকে রাখতে পারে৷ পরবর্তীতে সেটা অনির্দিষ্টকাল পর্যন্ত বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে৷ মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো এই আইনের সমালোচনা করলেও ইসরায়েল বলছে, হামলা ঠেকাতে এবং গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহে পুলিশকে সময় দিতে এই আইন করা হয়েছে৷
‘প্যালেস্টিনিয়ান প্রিজনার্স ক্লাব’ এর হিসেবে ইসরায়েলের জেলে থাকা প্রায় সাড়ে ছয় হাজার ফিলিস্তিনির মধ্যে প্রায় ৫০০ জনকে ‘অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ডিটেনশন’এর আওতায় আটক করা হয়েছে৷
ফিলিস্তিনি কারাবন্দিরা সম্প্রতি তাদের আটকাবস্থার বিরুদ্ধে অনশন করেছেন৷ পরে ভালো স্বাস্থ্যসেবা ও আত্মীয়স্বজনদের সঙ্গে নিয়মিত দেখা করার সুযোগের আশ্বাস পেয়ে অনশন ভঙ্গ করেন তাঁরা৷