বিবিসি
ডেনমার্কের কোপেনহেগেনের মারিয়াম মসজিদ কোন সাধারণ মসজিদ নয়। এই মসজিদের ইমাম শিরিন খানকানও কোন সাধারণ ইমাম নন। শিরিন খানকান এই মসজিদের ইমাম। উত্তর ইউরোপে এটাই প্রথম মসজিদ যেখানে একজন নারী ইমাম আছেন।
শিরিন খানকান জানিয়েছেন, মারিয়াম মসজিদ তিনি প্রতিষ্ঠা করেছেন ইউরোপের নতুন প্রজন্মের মুসলিম, যারা মনে করে তাদের কোথাও যাবার জায়গা নেই, তাদের জন্য।
তিনি বলেন, ‘এর উদ্দেশ্য ইসলামোফোবিয়া আর কট্টর ইসলামের মোকাবিলা। সেই সঙ্গে প্রগতিশীল ইসলামী মূল্যবোধের প্রচার। এজন্য নারী মুসলিম নেতৃত্ব খুবই দরকার।’
শিরিন খান আধা সিরিয়ান এবং আধা ফিনিশ বংশোদ্ভূত। তিনি মনে করেন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে মুসলিম মহিলাদের নেতৃত্ব দেওয়ার সময় এসেছে।
শিরিনের মত, ‘আমার দৃষ্টিতে এটা শুধু লিঙ্গের ব্যাপার নয়, এটা জ্ঞানের ব্যাপার। যার জ্ঞান আছে, সে ইসলামের বার্তা প্রচার করতে পারবে। নবী মুহাম্মদের (তার ওপর শান্তি বর্ষিত হোক) সময় তার বাড়ির নামাজ ঘরে কিন্তু নারীরা ইমাম হিসেবে কাজ করেছেন।’
‘আমরা দেখছি মুসলিম নারীরা অনেক ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিচ্ছে। চীনে ১৮২০ সাল থেকে মুসলিম নারীরা ইমাম হিসেবে কাজ করছেন। জনসংখ্যার অর্ধেক অংশই যেখানে নারী, সেখানে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতেও তাদের নেতৃত্ব দেওয়াটা সময়ের ব্যাপার মাত্র।’
দ্য টেলিগ্রাফের খবর অনুযায়ী, ডেনমার্কে নারীদের জন্য প্রথমবারের জন্য পৃথক এই মসজিদটি নির্মিত হয়েছে এ বছরের গোড়ার দিকে । তবে এখানে চাইলে পুরুষরাও একসঙ্গে নামাজ পড়তে পারবেন বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠাতারা।এই মসজিদটি প্রতিষ্ঠায় নেতৃত্ব দিয়েছেন ডেনমার্কে জন্ম নেওয়া সিরিয়ান বংশোদ্ভূত শেরিন খানকান। তিনি এই মসজিদের ইমাম এবং পেশায় একজন ধারাভাষ্যকার।