ট্রাম্পকেই বেছে নিলেন ইলেকটোরাল ডেলিগেটরা

ডিসেম্বর ২০, ২০১৬
Spread the love

আয়না ২৪ ডেস্ক

ইলেকটোরাল কলেজ ভোটেও জয়ী হলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি নিশ্চিতভাবেই যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন।

নির্বাচনের ছয় সপ্তাহ পর স্থানীয় সময় গতকাল সোমবার অনুষ্ঠিত ইলেকটোরাল কলেজ ভোটেও ট্রাম্পের রিপাবলিকান পার্টি জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় ২৭০ ভোট নিশ্চিত করেছে। এক প্রতিক্রিয়ায় ট্রাম্প দেশকে ঐক্যবদ্ধ করতে কঠোর পরিশ্রম করার জন্য আহ্বান জানান। তিনি সব মার্কিনের প্রেসিডেন্ট হবেন বলে আশ্বস্ত করেন।

কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া ইলেকটোরাল ভোট গ্রহণে কোনো অঘটনা ঘটেনি। রিপাবলিকান নেতা ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন মাত্র দুজন ইলেকটোরাল ভোটার। কমপক্ষে চারজন ইলেকটোরাল ভোটার ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনের পক্ষে ভোট দেননি।

যুক্তরাষ্ট্রের সব অঙ্গরাজ্যে ইলেটোরেট ভোট গ্রহণের সময় বিক্ষোভকারীদের অবস্থান ছিল লক্ষণীয়। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে স্লোগান, পোস্টার নিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ করেন তাঁরা।

টেক্সাস অঙ্গরাজ্যে সাধারণ নির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রথা অনুযায়ী, অঙ্গরাজ্যের সব কটি ইলেকটোরাল ভোট তাঁর পাওয়ার কথা। কিন্তু টেক্সাসের একজন সপক্ষ ছেড়ে ভোট দিয়েছেন ওহিওর গভর্নর জন কেইসিককে। একই রাজ্যের অন্য একজন ভোট দিয়েছেন লিবারেটিয়ান পার্টির রন পলকে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের সপক্ষ ত্যাগীর সংখ্যা এই দুজন হলেও ডেমোক্র্যাট পার্টির সপক্ষ ত্যাগকারীর সংখ্যা বেশি।

মিনেসোটা রাজ্যের একজন ইলেকটোরেট ভোটার হিলারির পরিবর্তে ভোট দিতে চেয়েছেন বার্নি স্যান্ডার্সকে। রাজ্যের নিয়ম অনুযায়ী, তাঁর ভোটটি হিলারির পক্ষে ধরে নেওয়া হয়েছে। কারণ, এ রাজ্যের নিয়ম অনুযায়ী ইলেকটোরেট ভোটার জনগণের ইচ্ছা অনুযায়ী ভোট দিতে বাধ্য। মেইন ও কলোরাডো রাজ্যের আরও দুজন ডেমোক্র্যাট ইলেকটোরেট হিলারি ছাড়াও অন্য প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয় তাদের রাজ্যের আইনের কারণে।

ওয়াশিংটন রাজ্যের ১২টি ইলেকটোরেট ভোটের মধ্যে আটটি ভোট পেয়েছেন হিলারি ক্লিনটন। এই রাজ্যে সাধারণ নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট পেয়েছিলেন হিলারি। রাজ্যের নিয়ম অনুযায়ী সব ইলেকটোরেট ভোট তাঁর পাওয়ার কথা। সপক্ষ ত্যাগকারী চারজন অবশ্য ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ভোট না দিয়ে দিয়েছেন নির্বাচনে নেই এমন সব ব্যক্তিকে। রাজ্যের ইলেকটোরেট ভোটার আইন লঙ্ঘনের জন্য সপক্ষ ত্যাগকারীদের এক হাজার ডলার করে জরিমানা হতে পারে।

সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন একজন ইলেকটোরেট ভোটার হিসেবে নিউইয়র্কের আলবেনিতে উপস্থিত ছিলেন। নিউইয়র্ক রাজ্যের ২৯টি ইলেকটোরেট ভোটই রাজ্যের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের ইচ্ছা অনুযায়ী হিলারির পক্ষে গেছে। ভোট দেওয়ার পর বিল ক্লিনটন সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘এমন অহংকার করার মতো কোনো ভোট আমি আগে কখনো দিইনি।’

নিউজার্সির ইলেকটোরেট ভোটার ছিলেন বাংলাদেশি তাহসিনা আহমেদ। ভোট দিয়ে তিনি প্রথম আলোকে জানান, তিনি অঙ্গরাজ্যের ইলেকটোরেট কলেজের সেক্রেটারি হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন। একজন বাংলাদেশি আমেরিকান হিসেবে রাজনৈতিক এই দায়িত্ব পেয়ে তিনি অহংকারবোধ করছেন।

নিউজার্সিতে ডেমোক্র্যাট পার্টির হিলারি ক্লিনটন সাধারণ নির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন। এই রাজ্যের ১৪টি ইলেকটোরেট ভোটই নিয়ম অনুযায়ী হিলারি পেয়েছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনী আইন অনুযায়ী ইলেকটোরেট ভোটাররা দুটি করে ভোট দিয়েছেন। একটি প্রেসিডেন্ট এবং অন্যটি ভাইস প্রেসিডেন্ট পদের জন্য। প্রতিটি রাজ্যে গৃহীত ভোট সত্যায়ন করে রাজ্য সরকার থেকে কংগ্রেসে পাঠানো হবে।

আগামী ৬ জানুয়ারি ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কংগ্রেসের সভায় ইলেকটোরেট ভোটের ফলাফল আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হবে। আইনপ্রণেতারা ইচ্ছা করলে কোনো ইলেকটোরেট ভোটারের ভোট প্রদান বা ভোটের ফলাফলকে চ্যালেঞ্জ করতে পারবেন।

যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানে ইলেকটোরেট ভোটারদের ভোট প্রদানের প্রক্রিয়া সম্পর্কে স্পষ্ট কোনো নির্দেশনা নেই। বেশ কিছু অঙ্গরাজ্য নিজস্ব আইন প্রণয়ন করে সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের ইচ্ছা অনুযায়ী ইলেকটোরেট ভোটারদের ভোট প্রদানে বাধ্যবাধকতা আরোপ করেছে।

ডোনাল্ড ট্রাম্পকে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করা হবে কি না, তা নির্ধারণের জন্য গতকাল সোমবার ৫০টি অঙ্গরাজ্যে এবং ডিস্ট্রিক্ট অব কলাম্বিয়ায় ৫৩৮ জন ইলেকটর বা নির্বাচক বসেন। ইলেকটররা ট্রাম্পকেই আনুষ্ঠানিকভাবে প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচন ক