আয়না২৪ ডেস্ক
ভক্তদের অজান্তেই ‘খোজা’করণের অভিযোগ উঠেছিল তার বিরুদ্ধে। বছর দুয়েক আগে এ নিয়ে মামলাও শুরু হয়েছিল। এ বার ওই মামলায় রমিত রাম রহিম সিং ইনসান সিবিআইর জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেন এই তথ্য।
তিনি এনিয়ে জবানবন্দীও দিয়েছেন সিবিআইয়ের কাছে। আদালতের বিশেষ অনুমতি নিয়ে বুধবার রোহতকের জেলে রাম রহিমের জবানবন্দী রেকর্ড করেন সিবিআইয়ের তদন্ত কর্মকর্তারা।
সিরসায় ডেরার এক ভক্ত হংসরাজ চৌহান অভিযোগ করেন, গত ২০০০ সালে তাকে খোজা করা হয়েছিল। এর বছর দুয়েক পরে ২০১২-তে আদালতের দ্বারস্থ হন হংসরাজ। আদালতের কাছে একটি আবেদনে সে জন্য সিবিআই তদন্ত-সহ ক্ষতিপূরণের দাবি করেন তিনি। সিবিআইয়ের মুখপাত্র এ কথা জানিয়েছেন।
হংসরাজের দাবি, রাম রহিম ভক্তদের বোঝাত যে খোজা হওয়ার মধ্যদিয়ে ভক্তদের ঈশ্বরের উপলব্ধি হবে। এভাবে ভুল বুঝিয়ে সেসময় ডেরার প্রায় ৪০০ ভক্তকে জোর করে নপুংসক (খোজা) করা হয়। হরিয়ানা, পাঞ্জাব ও রাজস্থানসহ বিভিন্ন রাজ্যের ভক্তদের তখন খোজা করা হয়েছিল।
পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টের নির্দেশে ২০১৫ সালের জানুয়ারি মাসে এ নিয়ে রাম রহিমের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে সিবিআই। রাম রহিমের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র ছাড়াও একাধিক অভিযোগ আনা হয়। এছাড়া সম্প্রতি দুই নারীকে ধর্ষণের পৃথক মামলায় তাকে ২০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।