আয়না২৪ ডেস্ক
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পবিত্র নগরী জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার পর ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামীদের সঙ্গে ইসরায়েলের নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘাত শুরু হয়েছে। গতকাল শুক্রবার ইসরায়েলের দখল করা পশ্চিম তীর এবং ইসরায়েল-গাজা সীমান্তে ব্যাপক সংঘাত শুরু হয়। এই ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে পুরো জেরুজালেম জুড়ে।
ফিলিস্তিনের চিকিৎসালয়গুলোতে দায়িত্বপ্রাপ্তরা জানায়, প্রবল ক্ষোভের ফলে সৃষ্ট এই সংঘাতে বেশ কয়েকজন ফিলিস্তিনি আহত হন। একইভাবে পশ্চিম তীরেররামাল্লা, বেথলেহেম, হেবরন, নাবলুসসহ বেশ কয়েকটি স্থানে এই সংঘাত ছড়িয়ে পড়েছে। আন্তর্বিজাতিক বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলে প্রচারিত ভিডিওতে দেখা গেছে, বিক্ষোভকারীদের পরাস্ত করতে ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনী জলকামান ও রাবার বুলেট ব্যবহার করছে।
তবে ইসরায়েল সরকার আগে থেকে বুঝতে পেরে শুত্রবার জুমার নামাজের আগেই জেরুজালেমের পুরনো শহরে (ওল্ড সিটি) প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করে। ফিলিস্তিনিরা জুমার নামাজের পর বিক্ষোভের ঘোষণা দেওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে ইসরায়েল আগে-ভাগেই নিরাপত্তা জোরদার করে।
জেরুজালেমকে ফিলিস্তিন ও ইসরায়েল দুটি দেশই নিজেদের রাজধানী বিবেচনা করে আসছে। এনিয়ে এ দুটি দেশের মধ্যে কয়েক যুগ ধরে সংঘাত-সংঘর্ষ চলে আসছে। তবে পশ্চিমা বিশ্ব ও ইউরোপ এতোদিন জেরুজালেম নিয়ে দুপক্ষের দাবির ক্ষেত্রে নিরপেক্ষ ছিল্। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সম্প্রতি জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। ফলে যুক্তরাষ্ট্রই হলো এক্ষেত্রে প্রথম দেশ যে এমন স্বীকৃতি দিলে। যুক্ত রাষ্ট্রের এমন স্বীকৃতিকে প্রত্যাখ্যান করেছে আরব ও ইসলামি বিশ্ব। একইসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে এমন সিদ্ধান্তে সমর্থন দেয়নি দেশটির মিত্ররাও।
যুক্তরাষ্ট্রের এমন স্বীকৃতির পর ফিলিস্তিনে ব্যাপক ক্ষোভ-বিক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ যুক্তরাষ্ট্রের এই স্বীকৃতিকে অযৌক্তিক ও বিশ্ব শান্তির জন্য হুমকি বলে মন্তব্য করেছে।