আয়না২৪ ডেস্ক
জার্মানির হামবুর্গ শহরে জি ২০ সম্মেলন শুরুর আগে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে। পুলিশ বলছে, এতে ৭৬ পুলিশ আহত হয়েছেন। তিন পুলিশ কর্মকর্তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। কয়েকজন বিক্ষোভকারীও আহত হয়েছেন।
১২ হাজার মানুষের অংশগ্রহণে ‘ওয়েলকাম টু হেল’ অর্থাৎ ‘এই নরকে তোমাকে স্বাগতম’ স্লোগান নিয়ে বের করা একটি শোভাযাত্রায় যখন পুলিশ মুখোশপরা লোকজনকে চার্জ করছিল তখন এই সংঘর্ষ বাধে।
এই সম্মেলনে ডোনাল্ড ট্রাম্পসহ বিশ্বনেতারা জলবায়ু, বাণিজ্য ও অন্যান্য গুরুতআবপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলেঅচনা করার জন্য এরই মধ্যে তারা এখন জার্মানিতে অব্স্থান করছেন।
প্রতিবাদকারীরা পুলিশের ওপর বোতল, পাথর ও মশাল ছুড়লে পুলিশ মুখোশধারী বিক্ষোভকারীদের ওপর জলকামান ও পিপার স্প্রে ব্যবহার করে।
সংঘর্ষ শুরুর পর আয়োজকরা যাত্রাটি বাতিল করে দেয়। কিন্তু বিক্ষোভকারীরা তখনও রাস্তায় থেকে যায়। পুলিশ বলছে, শহরের অন্যান্য এলাকায় সহিংসতা ছড়িয়ে পড়তে পারে।
বিক্ষোভকারীরা বলছে, বৈষম্য দূর করতে সরকার প্রধানেরা যেনো আরো মনোযোগী হন তা মনে করিয়ে দেয়াই তাদের মূল উদ্দেশ্য।
বিশ্বনেতাদের সম্মেলন জি-২০কে তারা ‘গণতন্ত্র বিরোধী বলে উল্লেখ করেছে বিক্ষোভকারীরা।
এক বিক্ষোভকারী বলছেন, “আমি জি-২০ সম্মেলনের বিরোধী কারণ তারা গণতান্ত্রিক নয়। তারা অন্য দেশগুলোর জন্য নিজেরাই সিদ্ধান্ত নিতে চায়, যা একেবারেই সমীচীন নয়।”
আরেকজন বিক্ষোভকারী বলছেন, “আমি এদের বিরোধিতা করি কারণ তারা যে রাজনীতি করে তা আমি পছন্দ করি না। যেমন এরদোয়ান, পুতিন ও ট্রাম্প।”
জলবায়ু পরিবর্তন ও বাণিজ্যসহ কিছু ইস্যুতে জি-টুয়েন্টি সম্মেলনের নেতাদের মধ্যেও মত-দ্বৈততা রয়েছে।
জি-২০ সম্মেলনের আগেই জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মের্কেলের সঙ্গে দেখা করেছেন মার্কিন প্রধান ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেখানে তারা উত্তর কোরিয়া, মধ্যপ্রাচ্য সংকট ও ইউক্রেন সমস্যা নিয়ে আলাপ করেছেন।
তবে, গত সপ্তাহেই মের্কেল বলেছিলেন, এবারের জি-২০ প্যারিস জলবায়ু চুক্তি বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব দেবে।
এদিকে শুক্রবারই প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিক বৈঠক করবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভ্লাদিমির পুতিন। বিপরীত মেরুর প্রভাবশালী এই দুই রাষ্ট্রপ্রধানের বৈঠক কতখানি সফল হবে তা নিয়ে ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে আলোচনা।