
আয়না২৪ ডেস্ক
প্রশান্ত মহাসাগরের যে দ্বীপে হামলার হুমকি দিচ্ছে উত্তর কোরিয়া, সেই ‘গুয়াম’ দ্বীপটি সম্পর্কে অনেকেরই বেশ কৌতূহল রয়েছে। বর্তমানে বিশ্বের নানা প্রান্তের মানুষের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে এই ছোট্ট দ্বীপটি।

জানা গেছে, উত্তর কোরিয়া থেকে ৩ হাজার ৪শ’ কিলোমিটার দূরে গুয়াম দ্বীপটি ওই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত মূল ঘাটি। হাওয়াই আর এশিয়ার মাঝে এটাই একমাত্র ভূমি, যেখানে বিমানবন্দর আছে। এই স্থান থেকে একই সঙ্গে কোরিয়া আর তাইওয়ানের আশেপাশের এলাকা কাভার করা যায়।

দ্বীপটির বেশিরভাগ এলাকা জুড়েই আছে মার্কিন সামরিক ঘাটি। এর অর্থনীতির মূল উৎসও পর্যটন আর মার্কিন সামরিক ঘাটি। গুয়াম দ্বীপে প্রায় ১ লাখ ৮০ হাজার মানুষ বসবাস করে, যাদের মধ্যে আদিবাসী চামোরো আছে। পাশাপাশি রয়েছে জাপানি আর চীনা লোকজন। এছাড়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অন্য দ্বীপের বাসিন্দারাও থাকে সেখানে।
যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক হলেও, গুয়ামের বাসিন্দারা মার্কিন নির্বাচনে ভোট দিতে পারেন না। দ্বীপটিতে সম্পদ খুবই কম আছে, সবকিছুর জন্য আমদানির উপর নির্ভর করতে হয়। ১৮৯৮ সালে স্প্যানিশ-আমেরিকান যুদ্ধের সময়, দ্বীপটি যুক্তরাষ্ট্রের দখলে যায়,এরপর থেকে এটি আমেরিকার নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে। বিবিসি।