আয়না ২৪ ডেস্ক
চাকরিপ্রার্থী ক্লো ব্রিজওয়াটার। বয়স সাত! শিক্ষাগত যোগ্যতা ফার্স্ট গ্রেড। মেধাবী হিসেবে সুনাম রয়েছে ক্লাসে। বানান বা অঙ্ক কষায় ভুল হয় না সচরাচর। বাবার দেওয়া ট্যাবলেটে রোবটের গেম খেলতে পারে দিব্যি। আগ্রহ রয়েছে কম্পিউটারেও।
ইংল্যান্ডের হেরফোর্ড থেকে চাকরি চেয়ে এমনই এক আবেদনপত্র গিয়েছিল গুগ্লের দফতরে। দেরি না করে তার জবাবও দিয়েছেন ‘গুগ্ল বস’ সুন্দর পিচাই। পাল্টা চিঠিতে ক্লো’কে তিনি লিখেছেন, বড় হও। লেখাপড়া শেষ করো। আমি আবার তোমার চাকরির আবেদনপত্রের জন্য অপেক্ষা করব। ক্লো-র এই চিঠি আর পিচাইয়ের উত্তর সম্প্রতি সোশ্যাল মি়ডিয়ায় পোস্ট করেছেন খুদের বাবা অ্যান্ডি ব্রিজওয়াটার। লাইক পড়েছে প্রায় দশ হাজার। গুগ্লও জানিয়েছে, ঘটনাটি মিথ্যে নয়।
গল্পের শুরু সপ্তাহ কয়েক আগে। ‘‘তুমি যে কাজটা কর সেটা ছাড়া তোমার আর কোথায় কাজ করতে ইচ্ছা করে?’’ পেশায় সেলস ম্যানেজার অ্যান্ডিকে প্রশ্নটা করেছিল ক্লো। তখনই গুগ্লের নাম করেন অ্যান্ডি। ‘‘কেন গুগ্ল কেন?’’ প্রশ্ন করে মেয়ে। মেয়ের কৌতুহল মেটাতে ইন্টারনেটে ক্লোকে সিলিকন ভ্যালির গুগল ক্যাম্পাসের ছবি দেখান তিনি। বিন ব্যাগ, স্লিপ আর গো কার্টের মতো জিনিসে সাজানো ক্যাম্পাসটি ভারি মনে ধরে ক্লো-র। বাবাকে জানায়, সেও গু্গলে চাকরি করতে চায়। আর তার পরেই বাবার সাহায্য নিয়ে গুগ্লের সিইও সুন্দর পিচাইয়ের কাছে লিখে ফেলে আবেদনপত্রটি। নাম না জানায় চিঠির শুরুতে পিচাইয়কে সম্বোধন করে ‘গুগ্ল বস’ বলে।
চিঠিতে কী লিখেছিল ছোট্ট ক্লোয়ি, গুগলের ঝকঝকে সিইও’কে?
চিঠিতে ক্লো লেখে, গুগলে চাকরি পেলে বিন ব্যাগে বসতে বা স্লিপে চড়তে কোনও অসুবিধে হবে না তার। এমনিতে সে লেখাপড়ায় ভাল। সেই জন্য ক্লাসে ম্যাডামরা তাকে বেশ ভালবাসে। সে কম্পিউটার জানে। বাবা বলেছে, এ ভাবেই পড়াশোনা চালিয়ে গেলে এক দিন গুগ্লে চাকরি পাবে সে। তবে শুধু গুগ্ল নয়, চকোলেটের কারখানায় কাজ করা বা অলিম্পিকে সাঁতার কাটার স্বপ্নও রয়েছে তার।
চিঠি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ৩ ফেব্রুয়ারি উত্তর পাঠান সুন্দর পিচাই। ক্লো’কে পিচাই লিখেছেন, ‘‘শুনে ভাল লাগল যে তোমার কম্পিউটার, রোবট পছন্দ। আশা করছি, ভবিষ্যতে তুমি প্রযুক্তি নিয়ে আরও জানবে। গুগ্লে চাকরি করা হোক বা অলিম্পিকে সাঁতার কাটা— চেষ্টা করলে সব স্বপ্নই সত্যি হয়। লেখাপড়া শেষ করে আবার চিঠি লিখো। অপেক্ষা করব।’’
আর কী বলছে খুদে প্রার্থী?
সে জানায়, এর আগে সে একমাত্র ফাদার খ্রিস্টমাসকে চিঠি লিখছিল। কোনও জবাব আসেনি। ‘গুগ্ল বস’-এর চিঠি পেয়ে তাই সে দারুণ খুশি।