আয়না২৪ ডেস্ক
ব্লু টবিন এমন এক বিষ্ময়কর শিশু যে কি না ক্যানসারকে হার মানিয়েছে! এটা নিছক কেবল গল্প নয় পুরোদস্তুর সত্য ঘটনা। ব্লু টবিনের বয়স যখন দুই বছর তখন ওর শরীরে ধরা পড়ে মারাত্মক ক্যানসার। ক্যানসার শনাক্তকারী চিকিৎসকেরা বললেন, টবিনের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা মাত্র ১০ ভাগ। কিন্তু চিকিৎসকদের অদম্য চেষ্টা ও ওষুধের গুণে মারণব্যাধী ক্যানসারকে জয় করেছে ছোট্ট এই শিশু।
চিকিৎসকেরা তার নাম দিয়েছেন বিষ্ময় শিশু।
ক্যাসসারের শেষ পর্যায়ে থাকায় এবং বেঁচে থাকার কোন আশা না থাকায় টবিনকে হাসপাতাল থেকে বাড়িতে ফেরত পাঠান চিকিৎসকেরা। এর কিছুদিন পর চিকিৎসকেরা থবর পাঠালেন ওর বাবা-মাকে। বললেন, তাঁরা শেষ চেষ্টাটা করতে পারেন।
ব্রিটেনের কেন্টের বাসিন্দা দুই বছর বয়সী ব্লু টবিনের শরীরে এমন এক ধরনের উচ্চমাত্রার ওষুধ প্রয়োগ করা হবে যেটি তার বয়সী কোন শিশুর শরীরে আগে কোনোদিনও প্রয়োগ করা হয়নি। এ ওষুধ প্রয়োগ করলে হয়তো সে কিছুদিন বেঁচে থাকতে পারে আবার তার মারাও যেতে পারে।
অনেক ভেবে চিন্তে টবিনের মা-বাবা সেই ওষুধ প্রয়োগের পক্ষে সম্মতি দেন। সবাইকে তাক লাগিয়ে সে ওষুধ ব্লু টবিনের শরীর কাজ করা শুরু করলো। একটা সময় এসে তার শরীরে থাকা ক্যানসারের অস্তিত্বও বিলীন হয়ে গেলো। চিকিৎসকরা তাকে ক্যান্সার মুক্ত ঘোষণা করলেন। আট বছর বয়সী ব্লু টবিন কয়েকদিন আগে লন্ডনের বিখ্যাত ক্যান্সার হাসপাতাল রয়্যাল মার্সডেন হাসপাতালে এসেছিল। সেখানে এসে ক্যান্সার বিদায়ের আনুষ্ঠানিক ঘণ্টা বাজায় এই বিষ্ময়কর শিশু।
ব্লু টবিনকে এখন চিকিৎসকরা ‘বিস্ময়কর শিশু’ হিসেবে অভিহিত করেন। ক্যানসার থেকে তার সেরে উঠা সবাইকে অবাক করে দিয়েছে। টবিনের শরীরে যে ওষুধ প্রয়োগ করা হয়েছিল সেটি বেশ ব্যয়বহুল ছিল। সে ওষুধ নিয়ে গবেষণার জন্য অনেকেই অর্থ দিয়ে সহায়তা করেছেন।
রয়্যাল মার্সডেন হাসপাতালের ক্যানসার বিশেষজ্ঞ মাইক পর্টার বলেন, ‘আমি তাকে বিস্ময় শিশু বলে ডাকি। আমি গত ২৫ বছরে এ ধরনের কোন ক্যানসার রোগী দেখিনি যে শেষ পর্যায়ে গিয়েও আবার সুস্থ হয়েছে।’ ব্লু টবিনের মা-বাবা এবং চিকিৎসকরা বলছেন যেভাবে সে বেঁচে উঠেছে সেটা তার ‘দ্বিতীয় জন্মের’ মতো। বড় হয়ে একজন সংগীত শিল্পী হতে চান ব্লু টবিন। তার এ ‘দ্বিতীয় জন্মে’ সে গান ও সুরের মাধ্যমে মানুষকে মাতিয়ে রাখতে চান। বিবিসি।