ঠিক ছয় বছর আগে দোসরা মে’র ঘটনা। দুপুরে ওবামা প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা হোয়াইট হাউজে পৌঁছতে শুরু করেছিলেন। সবার নজর এড়াতে হিলারি ক্লিনটনের গাড়িটা ‘ওয়েস্ট উইং’-এ সেদিন রাখা হয়নি, যেখানে সব সময়ে তাঁর গাড়িটা থাকত।
জাতীয় নিরাপত্তা টিম হোয়াইট হাউজেই একটা ‘যোগাযোগ কেন্দ্র’ তৈরি করেছিল, যেটা অ্যাডমিরাল ম্যাকরাভেনের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্ক রাখছিল। অ্যাডমিরাল সেই সময়ে আফগানিস্তানের জালালাবাদ শহরে ছিলেন।
ওই যোগাযোগ কেন্দ্রটার নাম দেওয়া হয়েছিল ‘সিচুয়েশন রুম’। ওই ঘরের সঙ্গে সিআইএ’র সদর দপ্তর আর পেন্টাগনের অপারেশনস্ সেন্টারের ভিডিও সংযোগ করা ছিল।
সিচুয়েশন রুমে জেনারেল জেমস কার্টরাইট সমস্ত ভিডিও চিত্রগুলোর ওপর নজর রাখছিলেন।
যুক্তরাষ্ট্রের সময় দুপুর ১টা ২২ মিনিটে সিআইএ’র প্রধান লিওন প্যানেটা অ্যাডমিরাল ম্যাকরাভেনকে আদেশ দিলেন, ‘গো ইন দেয়ার অ্যান্ড গেট বিন লাদেন’।
পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদ শহরে সেই সময়ে রাত এগারোটা বাজে। বিন লাদেনের গোটা পরিবার শুয়ে পড়েছিল।
পাকিস্তান আর আফগানিস্তানের মধ্যে আধ ঘণ্টার সময়ের ব্যবধান। জালালাবাদ শহরে তখন বাজে সাড়ে দশটা।
যুক্তরাষ্ট্র নৌবাহিনীর ‘সীল’ দলের ২৩ জন সদস্য দু’টো ব্ল্যাক হক হেলিকপ্টারে চড়ার জন্য তৈরি হচ্ছিলেন।
ওই দলে পাকিস্তানী বংশোদ্ভূত এক দোভাষীও ছিলেন, যাদের সেনাবাহিনীর ভাষায় ‘টর্প’ বলা হয়। ‘কায়রো’ নামের একটা কুকুরও সঙ্গে ছিল। তাকেও সীল টিমের অন্য সদস্যদের মতোই বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট পড়ানো হয়েছিল।
আধঘণ্টা পরে অর্থাৎ আফগানিস্তানের স্থানীয় সময় রাত ১১টায় দুটো ব্ল্যাক হক হেলিকপ্টার জালালাবাদ বিমানঘাঁটি থেকে পূর্ব দিকে পাকিস্তানের সীমানার দিকে রওনা হয়েছিল।
ওসামা বিন লাদেনের ওপরে লেখা বহুল-পঠিত বই ‘ম্যানহান্ট’-এর লেখক পিটার ব্যার্গেন লিখেছেন, “ওই দুটো হেলিকপ্টার থেকে খুব কম মাত্রায় তাপ নির্গত হচ্ছিল, আর ওই দুটোর ‘টেল’-এ যে ব্লেড ছিল সেগুলোও এমনভাবে তৈরি করা হয়েছিল, যাতে খুব কম আওয়াজ হয়। পাকিস্তানী রেডার যাতে ওই হেলিকপ্টার দুটোর অবস্থান ধরতে না পারে, সেজন্যই ওই সতর্কতা।”
‘ন্যাপ অব দা আর্থ’ ফরমেশনে, অর্থাৎ মাটির থেকে সামান্য কয়েক ফিট ওপর দিয়ে প্রচণ্ড গতিতে হেলিকপ্টার দুটো উড়ছিল।
পাকিস্তানের সীমানা পেরুনোর পরে পেশাওয়ার থেকে উত্তরের দিকে ঘুরে যায় হেলিকপ্টার দুটো। অ্যাবোটাবাদে পৌঁছতে সময় লেগেছিল প্রায় দেড় ঘণ্টা।
‘দ্য নিউইয়র্কার’-এ বিন লাদেনের ওপরে লেখা ‘গেটিং বিন লাদেন’ নামের একটি প্রতিবেদনে নিকোলস শিমিডিল লিখেছেন, ব্ল্যাক হক হেলিকপ্টার দুটো উড়ে যাওয়ার ৪৫ মিনিট পরে ওই রানওয়ে থেকেই চারটে চিনুক হেলিকপ্টার উড়েছিল।
দুটো হেলিকপ্টার পাকিস্তানের সীমানা পার হয়ে গিয়েছিল, আর দুটো সীমানার পাশেই অবতরণ করেছিল।
এই চারটি হেলিকপ্টার পাঠানোর সিদ্ধান্তটা একেবারে শেষ মুহূর্তে নেওয়া হয়েছিল কারণ প্রেসিডেন্ট ওবামা চেয়েছিলেন যে গোটা অপারেশনটা যদি তাঁদের পরিকল্পনা অনুযায়ী না হয়, তাহলেও যাতে আমেরিকান সৈনিকরা লড়াই করতে করতে পাকিস্তান থেকে আফগানিস্তানে ঢুকে পড়তে পারে।
ঠিক করা হয়েছিল, এই চারটে হেলিকপ্টার তখনই ব্যবহার করা হবে, যদি অপারেশনটা বড় কোনও গণ্ডগোলের মধ্যে পড়ে যায়।
পাকিস্তানে নামার পরেও হেলিকপ্টারগুলোর ইঞ্জিন বন্ধ করা হয়নি আর অপেক্ষা করার সময়েও সেগুলোর ব্লেডগুলো ঘুরছিল – যাতে প্রয়োজন হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আবার সেগুলো আকাশে উড়তে পারে, লিখেছেন নিকোলস শিমিডিল।
উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ব্ল্যাক হক হেলিকপ্টারগুলো অ্যাবোটাবাদে ঢুকেছিল। কিন্তু যখনই পাইলট বিন লাদেনের বাসভবনের সামনে অবতরণ করার চেষ্টা করছিলেন, তখনই নিয়ন্ত্রণ হারাতে শুরু করেন তিনি। খুব দ্রুত নিচের দিকে নেমে আসছিল হেলিকপ্টারটা।
আসলে, ‘সীল’ টিম যখন আমেরিকায় এই মিশনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল, তখন কম্পাউন্ডের চারদিকের দেওয়াল লোহা দিয়ে তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু বিন লাদেনের আসল বাড়ির চারদিকে দেওয়ালটা ছিল কংক্রিটের।
এই জন্যই হেলিকপ্টারের লেজটা দেওয়ালের সঙ্গে ধাক্কা খায় আর ঘুরন্ত ব্লেডটা ভেঙ্গে যায়। অভিজ্ঞ পাইলট কায়দা করে হেলিকপ্টারটা নিচে নামিয়ে নিয়েছিলেন, কিন্তু ওটা আর ওড়ার অবস্থায় ছিল না। তবে কোনও প্রাণহানি হয়নি।
ওদিকে গোটা দৃশ্যটা তখন হোয়াইট হাউসের সিচুয়েশন রুমে বসে দেখছিলেন সবাই। বিন লাদেনের বাসভবনের ওপরে ঘুরতে থাকা একটা ড্রোন গোটা ঘটনার ছবি হোয়াইট হাউজে পাঠাচ্ছিল।
অ্যাডমিরাল ম্যাকরাভেন একদম স্বাভাবিক গলায় সিআইএ’র প্রধান প্যানেটাকে বলেছিলেন, “ডাইরেক্টর, আপনি যেমনটা দেখছেন, আমাদের একটা হেলিকপ্টার ওই বাড়িটার উঠোনে ভেঙ্গে পড়েছে। সেজন্য মিশনে সামান্য বদল ঘটাতে হচ্ছে। আমার ছেলেরা এ ধরনের পরিস্থিতির জন্য আগে থেকেই তৈরি আছে। ওরা জানে ওদের কী করতে হবে।”
একটা হেলিকপ্টার ভেঙ্গে পড়ার দৃশ্য অন্য ব্ল্যাক হকের পাইলট ওপর থেকেই দেখেছিলেন।
প্ল্যান ‘এ’ অনুযায়ী দ্বিতীয় হেলিকপ্টারটির লাদেনের শোয়ার ঘরের ছাদের ওপরে ঘোরার কথা ছিল। সেখানে থেকে দড়ি বেয়ে কয়েকজন ‘সীল’ নিচে নেমে ঘুমিয়ে থাকা বিন লাদেনকে আচমকা ধরে ফেলতে পারবে।
কিন্তু নিচের অবস্থা দেখে পাইলট প্ল্যান ‘বি’ বেছে নিলেন । হেলিকপ্টারটিকে তিনি উঠোনের বাইরে ক্ষেতের মধ্যে নামালেন।
উঠোনের চারদিকে নজর রাখার জন্য সীল সদস্যদের একটা ছোট দল, দোভাষী আর ‘কায়রো’ নামের কুকুরটা পাহারায় ছিল।
কুকুরটিকে এমনভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল যাতে সে বাইরের কোন লোককে উঠোনের কাছাকাছি যেতে না দেয়।
‘কায়রো’কে এই অপারেশনে নিয়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ ছিল বেশীরভাগ মুসলমান কুকুরকে নাপাক বলে মনে করেন এবং এর থেকে দূরে থাকেন।
ওদিকে বাড়ির দোতলায় বিন লাদেন তাঁর শোয়ার ঘরে নিরাপত্তা ব্যবস্থারই ফাঁদে পড়ে গিয়েছিলেন।
ঘরের ভেতরটা যাতে বাইরে থেকে কোনভাবেই না দেখা যায়, সেজন্য জানলা ছিল না বললেই চলে। কিন্তু এই ব্যবস্থা করতে গিয়ে বাইরে কী হচ্ছে ,সেটা তিনি নিজেও দেখতে পেতেন না।
‘সীল’ টিমের সদস্যরা দোতলায় ওঠার সময়েই লাদেনের ২৩ বছর বয়সী ছেলে খালিদকে দেখতে পায়। সিঁড়িতেই গুলি করে মেরে ফেলা হয় তাঁকে।
পিটার ব্যার্গেন লিখছেন, “লাদেনের শোওয়ার ঘরে একটা তাকের ওপরে কয়েকটা এ-কে ফরটি সেভেন ও মাকারোভ পিস্তল রাখা ছিল।
কিন্তু বিন লাদেন সেদিকে না গিয়ে আগে লোহার দরজা খুলে দেখতে চেষ্টা করেছিলেন যে বাইরে কীসের শোরগোল হচ্ছে।
একজন সীল সদস্য দেখে ফেলেন লাদেনকে। সিঁড়ি বেয়ে উঠে তিনি লাদেনের দিকে ধাওয়া করেন। মুহূর্তের মধ্যে লাদেন ঘুরে গিয়েছিলেন, কিন্তু তখনই বড় ভুল করেন তিনি।
লোহার দরজাটা বন্ধ করেননি। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে ওই সীল সদস্য ঘরের মধ্যে ঢুকে পড়েন। লাদেনের স্ত্রী আমাল আরবি ভাষায় চিৎকার করে কিছু একটা বলে স্বামীর সামনে দাঁড়িয়ে পড়েন।
আরেকজন ‘সীল’ সদস্য আমালের গোড়ালিতে গুলি করেন। বিন লাদেন কোনও প্রতিরোধ করেননি। একজন সীল সদস্য তার ওপরে ‘ডাবল ট্যাপ’ শট চালান। বিন লাদেনের বুক আর বাঁ চোখে গুলি লাগে।
নিকোলস শিমিডিল লিখছেন, “একজন স্পেশাল অপারেশনস অফিসার আমাকে বলেছিলেন যে বিন লাদেনকে জীবন্ত ধরা অথবা নিজেদের হেফাজতে নেবার কোনও পরিকল্পনাই ছিল না।
লাদেনকে মেরে ফেলার সিদ্ধান্তটা ওই জায়গায় দাঁড়িয়ে নেওয়া হয়নি। আগে থেকেই ঠিক করে রাখা হয়েছিল।
তবে আমেরিকান প্রশাসন মেনে নিয়েছিল যে যদি লাদেন প্রথমেই আত্মসমর্পণ করতেন, তাহলে তার ওপরে গুলি চালানো হতো না।”
ওদিকে ঘটনাস্থল থেকে আসা অডিও ফিডে অ্যাডমিরাল ম্যাকরাভেন ‘সীল’ দলের সদস্যদের কাছ থেকে স্পষ্ট শুনতে পেয়েছিলেন যে তাঁরা বলছেন ‘জেরোনিমো’। অপারেশন সফল হলে এই কোড-ই ব্যবহার করার কথা ছিল।
অ্যাডমিরাল সঙ্গে সঙ্গে হোয়াইট হাউজে জানিয়েছিলেন। কিন্তু তখনও বোঝা যাচ্ছিল না যে বিন লাদেন জীবিত না-কি মৃত।
ম্যাকরাভেন সীল দলের প্রধানকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, “ইজ হি এ-কি-য়া ( এনেমী কিল্ড ইন অ্যাকশন)”?
কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই উত্তর এসেছিল “রজার। জেরোনিমো এ-কি-য়া।”
অ্যাডমিরাল সঙ্গে সঙ্গেই হোয়াইট হাউজকে সঙ্কেত পাঠিয়ে দিয়েছিলেন।
প্রেসিডেন্ট ওবামা বলে উঠেছিলেন, “উই গট হিম … উই গট হিম।”
ওদিকে সীল টিমের একটা গুরুত্বপূর্ণ কাজ তখনও বাকি ছিল। ভেঙ্গে পড়া হেলিকপ্টারটাকে নষ্ট করে দিতে হবে, যাতে পাকিস্তানীরা ওটাতে ব্যবহার করা প্রযুক্তি ধরতে না পারে।
একই সঙ্গে পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর মুখোমুখি না হয়ে সুরক্ষিত অবস্থায় সে দেশের সীমানা পার হওয়াটাও জরুরী।
পরে ন্যাশনাল কাউন্টার-টেরোরিজম সেন্টারের প্রধান মাইকেল লিটর বলেছিলেন, “পাকিস্তান যে কেন সঙ্গে সঙ্গে কোনও প্রতিক্রিয়া দেখাল না, সেটা নিয়ে আমরা বেশ চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলাম। পাকিস্তানের স্ট্যান্ডার্ডে ওদের জবাব বেশ দেরীতেই এসেছিল।”
পাকিস্তান অবশ্য দুটো এফ-১৬ বিমান পাঠিয়েছিল হেলিকপ্টারগুলোকে ধাওয়া করতে। কিন্তু মাইকেল লিটর জানতেন সেগুলো খুব একটা কিছু করতে পারবে না। পাকিস্তানের পাইলটদের রাতে বিমান চালানোর খুব একটা অভ্যাস নেই।
মি. লিটর বলেছিলেন, “তবুও ওরা যদি চাইত তাহলে আমাদের কাছাকাছি চলে আসতে পারতো। কিন্তু ওরা আমাদের থেকেও বেশী নার্ভাস হয়ে পড়েছিল।”
পিটার ব্যার্গেন লিখেছেন, “সীল টিমের সদস্যরা বিন লাদেনের মৃতদেহ সিঁড়ি দিয়ে টেনে হিঁচড়ে নীচে নামিয়ে আনেন। গোটা সিঁড়িতে রক্ত পড়ছিল।
বাকি সীল কমান্ডোরা বিন লাদেনের বাসভবনের কম্পিউটার, মোবাইল ফোন আর হার্ড ডিস্কগুলো একত্র করছিল যাতে সেগুলো পরীক্ষা করে আল কায়েদার কার্যপ্রণালী, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা – এসব জানা যায়।”
লাদেনের মৃতদেহটা হেলিকপ্টারে শুইয়ে রাখা হয়েছিল। একজন সীল সদস্য লাদেনের ছবি তুলে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন সার্ভারে। চেহারা শনাক্ত করতে পারেন, এমন দু’জন বিশেষজ্ঞ ওয়াশিংটনে অপেক্ষা করছিলেন। পুরনো ছবির সঙ্গে তাঁরা চেহারাটা মিলিয়ে দেখার চেষ্টা করছিলেন।
প্রেসিডেন্ট ওবামা পরে বলেছিলেন, বিন লাদেনের ঘরে যে সময়টা সীল কমান্ডোরা কাটিয়েছিল, ওটাই তাঁর জীবনের দীর্ঘতম ৪০ মিনিট ছিল।
হেলিকপ্টারগুলো ফেরার সময়ে জালালাবাদের দিকে সোজা পথটাই ধরেছিল। গতিও আগেরবারের থেকে অনেক বেশী ছিল। পাকিস্তানের সীমানা পেরনোর আগে সেগুলোতে জ্বালানিও ভরা হয়েছিল।
তখনও প্রেসিডেন্ট ওবামা ঘটনার ভিডিওগুলোর দিকে নজর রাখছিলেন।
“আমাদের হেলিকপ্টারগুলো পাকিস্তানের সীমানা পার হলেই যেন আমাকে জানানো হয়”, বলেছিলেন মি. ওবামা।
স্থানীয় সময় রাত ২টা অর্থাৎ আমেরিকার সময় সন্ধ্যা সাড়ে ছ’টার সময়ে জালালাবাদ বিমানঘাঁটিতে হেলিকপ্টারগুলো ফিরে আসে।
আর গোটা অপারেশনটাতে সময় লাগে প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা।
আফগানিস্তানে সিআইএ’র স্টেশন চিফ এবং অ্যাডমিরাল ম্যাকরাভেন লাদেনের মৃতদেহটা পরীক্ষা করেছিলেন।
তাদের কাছে উচ্চতা মাপার কোনও ফিতে ছিল না, তাই দেহের উচ্চতা মাপা যাচ্ছিল না।
লাদেনের ছয় ফুট চার ইঞ্চি শরীরের সমান লম্বা এক আমেরিকান সৈন্যকে মৃতদেহের পাশে শোয়ানো হয়েছিল।
উচ্চতা মিলে যাওয়ার পরেই সকলে নিশ্চিত হয়েছিলেন যে মৃতদেহটা বিন লাদেনেরই।
ওদিকে হোয়াইট হাউজে লাদেনের ছবি সিচুয়েশন রুমে হাজির প্রত্যেককে দেখানো হয়েছিল।
প্রেসিডেন্ট ওবামা খুব মন দিয়ে দেখেছিলেন ছবিটা।
পরে জেনারেল ক্লিপার স্মৃতিরোমন্থন করে বলেছিলেন, “ছবিটা খুবই বীভৎস ছিল। কিন্তু আমাদের মনে কোনও সন্দেহ ছিল না যে ওটা ওসামা বিন লাদেনই ছিল।” খবর-বিবিসির