আয়না২৪ আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আমেরিকার নব নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইমপিচমেন্টের (অভিশংসন) মুখোমুখি হতে পারেন। নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর থেকে তাঁর বিরুদ্ধে দেশটির বিভিন্ন রাজ্যে বিক্ষোভের দাবালন ছড়িয়ে পড়েছে। নানা বিতর্কের জন্ম দেওয়ায় তাকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে মানতে পারছেন না অনেকেই।
বিশ্লেষকেরা মনে করেন, আইনি প্রক্রিয়াতেই ট্রাম্পকে ক্ষমতা থেকে অপসারণ করা সম্ভব। আইন বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ক্রিস্টোফার পিটারসনের দাবি, ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগে বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে। এ দুটি এমন গুরুতর অপরাধ যাতে তাঁকে অভিশংসন করা সম্ভব।
পিটারসন বলেন, ট্রাম্পকে যদি সত্যি সত্যি অভিশংসনের মুখোমুখি করা যায়, সেক্ষেত্রে তার ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স দেশের নেতৃত্ব দিতে পারেন।
বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে বরা হয়েছে, নব নির্বাচিত এই প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে প্রায় ৭৫টি মামলা রয়েছে। এরমধ্যে প্রতারণা ও জালিয়াতির মামলাও রয়েছে।এরমধ্যে ট্রাম্প বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের করা একটি মামলার শুনানি আগামী তিন সপ্তাহের কম সময়ের মধ্যে হবে বলে জানা গেছে।
অভিযোগ আছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ট্রাম্পের অর্থনৈতিক প্রতিশ্রুতি গরিব শিক্ষার্থীদের উন্নয়নে কোনো কাজে আসেনি। তিনি একটি প্রোগ্রামের আওতায় ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজার হাজার অভিভাবকের কাছ থেকে বড় অংকের ফান্ড সংগ্রহ করেন। কিন্তু ২০১০ সালে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়টি বন্ধ করে দেন।এছাড়া ২০১৩ সালে ট্রাম্প তার অনিবন্ধিত একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য বেআইনিভাবে চার কোটি ডলার অনুদান তোলেন। এ অভিযোগেও তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।নিউইয়র্কের সিনেট অ্যাটর্নি জেনারেলের কর্মকর্তা অ্যামি স্পিটালনিক এ মামলাটি করেন। চলতি বছরের মার্চ মাসে এ মামলাটির বিচার চলবে বলে রায় দেন আদালত। অবশ্য এর বিরুদ্ধে আপিল করেছেন ট্রাম্প।
পিটারসন দাবি করেন, ট্রাম্প দুর্নীতি ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমেরিকায় মিথ্যা বিবৃতি দিয়ে ব্যবসা করা সম্পূর্ণ বেআইনি। কিন্তু ট্রাম্প এমন কাজটিই করেছেন। এক্ষেত্রে বিস্তর প্রমাণও রয়েছে।’
অনেকেই মনে করছেন, এসব মামলায় চরম বেকায়দায় পড়তে পারেন ডোনাল্ড পারেন ট্রাম্প। এমনকি তিনি অভিশংসনের মুখোমুখিও হতে পারেন।