আয়না২৪ডেস্ক
মাস পাঁচেক আলাদা থাকার পরে পাকাপাকি ভাবে ‘স্বামীর ঘর’ করতে চলেই এলেন মেলানিয়া ট্রাম্প। ছেলের পরীক্ষার কারণে এতদিন একসাথে থাকা হয়নি তাদের। এখন হোয়াইট হাউসে পা রাখলেন মার্কিন ফার্স্ট লেডি। রবিবার তখন সবে সন্ধে নেমেছে ১৬০০ পেনসিলভ্যানিয়া অ্যাভিনিউয়ে।
ঢাক-ঢোল পিটিয়ে নয়, ছোট্ট টুইটে মেলানিয়া নিজেই আজ জানান তাঁর ‘গৃহপ্রবেশ’-এর কথা। সঙ্গে ছবিও দিয়েছেন। হোয়াইট হাউসের অন্দর থেকে দক্ষিণ খোলা জানালার দিকে তাক করা ক্যামেরা। ফ্রেমে লম্বা সাদা থামওয়ালা ট্রুম্যান ব্যালকনির পরেই বিস্তৃত লন। দূরে নীল আকাশ আর ওয়াশিংটন মনুমেন্ট। বছর এগারোর ছেলে ব্যারন ও পরিবারের বাকিদের নিয়ে স্মৃতিময় হোক আগামী দিন— লিখলেন মেলানিয়া।
কিন্তু কেমন হবে সেই আগামী দিন? আপাতত তা নিয়েই মজে হোয়াইট হাউস। জল্পনা বাইরেও। প্রেসিডেন্ট হয়ে ২০ জানুয়ারি হোয়াইট হাউসে পা রেখেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। মেলানিয়া আসেননি। ফার্স্ট লেডি তখনই বলে দিয়েছিলেন, ছেলের পরীক্ষা শেষ না হওয়া পর্যন্ত তিনি নিউ ইয়র্কের পেন্টহাউসেই থাকবেন। সদ্যই শেষ হয়েছে ব্যারনের পরীক্ষা। মনে করা হচ্ছে, আগামী শিক্ষাবর্ষে সে প়ড়বে ওয়াশিংটনের খুব কাছের একটা স্কুলে। পাকাপাকি ভাবে তাই এ বার ‘১৮ একর’-এরই বাসিন্দা হয়ে গেলেন মেলানিয়া।
গত বছর পর্যন্তও যেখানে থেকে রাজত্ব করে গিয়েছেন প্রাক্তন ফার্স্ট লেডি মিশেল ওবামা। এখন কেমন আছেন তিনি! কিছু অভাব টের পাচ্ছেন কি? সম্প্রতি এক টিভি শোয়ে এসে মিশেল বলেন, ‘‘তেমন কিছু নয়। খুব সামান্যই। বরং এখন যে অপার শান্তি পাচ্ছি, সেটাও কম উপভোগ্য নয়।’’
এর আগে যখন-যেমন সুযোগ পেয়েছেন, মেলানিয়া এসেছেন হোয়াইট হাউসে। ফার্স্ট লেডি হিসেবেই। কিন্তু গৃহকর্ত্রী হিসেবে আসবেন বলে এ বার সাজো সাজো রব ছিল আগে থেকেই। নতুন বাড়ি সাজাতে ফেব্রুয়ারিতেই মেলানিয়া এক জন ইন্টেরিয়র ডিজাইনার নিয়োগ করেছিলেন। সূত্রের খবর, অন্দরসাজ শেষ। এ বার গোছগাছের পালা।
আর তার পরে? সম্প্রতি ট্রাম্পের প্রথম বিদেশ সফরে আগাগোড়া সঙ্গে ছিলেন মার্কিন ফার্স্ট লেডি। পোপের সঙ্গে দেখা করেছেন, হাসি মুখে হাত মিলিয়েছেন ৪০টি মুসলিম দেশের রাষ্ট্রনেতার সঙ্গেও। ওয়াশিংটনে এসে বিদেশ দফতরের বীরাঙ্গনাদের সম্মানিত করেছেন! তাই প্রশ্ন উঠছে, মেলানিয়া কি এ বার আরও বেশি করে প্রশাসনিক কাজকর্মে জড়াবেন। তেমন কোনও বাধ্যবাধকতা নেই, তবে জল্পনা একটা থাকছেই।
মেলানিয়া নিজে অবশ্য তাকিয়ে ১৪ জুনের দিকে। স্বামীকে একগুচ্ছ চমক দেবেন বলে। সে দিনই ৭১-এ পা দিচ্ছেন ট্রাম্প! গোটা পরিবারকে পাশে নিয়ে হোয়াইট হাউসে এটাই প্রেসিডেন্টের প্রথম জন্মদিন পালন। মেলানিয়ার একটা ‘চমক’ অবশ্য এরই মধ্যে রাষ্ট্র হয়ে গিয়েছে। স্বামীর জন্য অভিনব এক কার্ড বানিয়েছেন ফার্স্ট লেডি। তাতে সমর্থকদের শুভেচ্ছা-সই চেয়ে বার্তা পাঠিয়েছেন নিজেই। শুকনো শুভেচ্ছা শুধু নয়, সমর্থকদের এ জন্য গুনতে হবে ট্যাঁকের কড়িও। ফার্স্ট লেডির ইচ্ছে— পাহাড়প্রমাণ হোক সেই তহবিল। শেষমেশ যা গিয়ে জমবে ‘ট্রাম্প মেক আমেরিকা গ্রেট এগেন কমিটি’-তেই।