আয়না২৪ প্রতিবেদন
বছর ঘুরে আবারো এলো খুশির ঈদ। আর এ উৎসবকে সামনে রেখে টিভি চ্যানেলগুলোয় থাকছে বিশেষ অনুষ্ঠানমালা। দর্শকের ঈদের আনন্দে ভিন্নমাত্রা যোগ করতে বিশেষ এ অনুষ্ঠানমালার মধ্যে অন্যতম হিসেবে টিভি পর্দায় দেখা মিলবে নাটক। খণ্ড ও সাত দিনব্যাপী ধারাবাহিক মিলিয়ে চ্যানেলগুলোতে প্রচার হবে রেকর্ডসংখ্যক নাটক। দর্শক ধরে রাখতে ভালোমানের নাটক প্রচারের লক্ষ্যে চ্যানেলগুলোর মধ্যে প্রতি ঈদেই থাকে বাড়তি প্রস্তুতি।
এরইমধ্যে চ্যানেলগুলোর সেই প্রস্তুতি শেষ। এমনকি চূড়ান্ত হয়েছে কোন নাটক কোনদিন প্রচার হবে। প্রতিবারের মতো এবারো সব চ্যানেলে রোমান্টিক ও কমেডিনির্ভর নাটক প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। এরমধ্যে ভিন্নতা বজায় রেখে এটিএন বাংলায় সাত দিনব্যাপী ঈদ আয়োজনের মধ্যে প্রচারের জন্য রেখেছে একাধিক নাটক-টেলিছবি। এসবের মাঝে উল্লেখযোগ্য হলো- সাগর জাহানের পরিচালনায় ‘নসু ভিলেন’, শামীম জামানের ‘চুটকি ভাণ্ডার’, আবু হায়াত মাহমুদের ‘রঙ পেন্সিল’, সকাল আহমেদের ‘ব্লাইন্ডনেস’, ফজলুল সেলিমের ‘সব চরিত্র কাল্পনিক নয়’, জুয়েল রানার ‘ময়ূররাক্ষী তোমায় দিলাম’ ইত্যাদি।
এবারের ঈদে চ্যানেল আইয়ে প্রচারের জন্য ছয় দিনে উল্লেখযোগ্য এক ডজনেরও বেশি নাটক চূড়ান্ত হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে রেজানুর রহমানের ‘জাদুকর’, হুমায়ূন আহমেদের গল্পে ও মেহের আফরোজ শাওনের পরিচালনায় নাটক ‘থ্রি টু ওয়ান জিরো অ্যাকশান’, আবুল হায়াতের ‘প্রিয়ন্তীর জন্য একটু ভালোবাসা’, আবু হায়াত মাহমুদের ‘যাতনা’, মীর সাব্বীরের ‘স্বার্থ সকল সুখের মূল’, রাজিব রসুলের ‘ইস্যু’, ইমরাউল রাফাতের ‘ফ্ল্যাশ মব’, হিমেল আশরাফের ‘লাল নীল হলুদ বাতি, পৃথ্বিরাজের ‘দূরে থেকেও কাছে’, রাজিবুল ইসলাম রাজিবের ‘বুকের ভেতর বৃৃষ্টি পরে’।
এনটিভির ঈদের নাটকের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- এসএম সালাহউদ্দিনের ধারাবাহিক শিশুতোষ অ্যানিমেশন সিরিজ ‘ডালিমকুমার’, মোস্তফা কামাল রাজের ‘একটি পারিবারিক প্রেম কাহিনী’, মাসুদ সেজানের ‘আল্টিমেটাম’ আরিফ খানের ‘ফিরে আসার গল্প’, আকরাম খানের ‘অন্ধকারের সুর’, শীহাব শাহীনের ‘ম্যানিকুইন মুমু’, পারভেজ আমিনের টেলিফিল্ম ‘দ্য পেইন্টার’, মিজানুর রহমান আরিয়ান ও জাহেদুল আলমের যৌথ পরিচলনায় ‘ব্যাচ ২৭’, মাসুদ হাসান উজ্জ্বলের ‘নোটস’। দেশ টিভির ঈদ আয়োজনে থাকছে মুরসালিন শুভর পরিচালনায় ধারাবাহিক ‘মধ্যবিত্তনামা’, আবু হায়াত মাহমুদের ‘লজ্জাবতী লায়লা এবার অভিনেত্রী লায়লা’, নিয়াজ নাদভীর ‘শূন্য ঘরের ছাদ’, অনিমেশ আইচের ‘হোটেল বিলাসবহুল’, গোলাম সোহরাব দোদুলের ‘নেতা ঠং অভিনেতা’, সুমন আনোয়ারের ‘গোলাপজান’, রাজিব সালেহীনের ‘রেগে গেলেন তো হেরে গেলেন’, মাসুদ হাসান উজ্জ্বল পরিচালিত ‘মধ্যরাতের তস্কর’সহ আরও একাধিক নাটক।
ঈদে বৈশাখী টিভির আয়োজনে উল্লেখযোগ্য নাটক হচ্ছে- অনিমেষ আইচের পরিচালনায় ‘ককটেল ফ্যাক্টরি’, আকাশ রঞ্জনের ‘ব্রেক ফেইল’, নিলয় মাসুদের ‘বউ যদি এমন হয়’, শামস করিমের নির্দেশনায় ‘বুলির বেলকনি’, মোরসালিন শুভ পরিচালিত ‘অভিনন্দন’ ইত্যাদি। এছাড়া আরও ডজন খানেক নাটক প্রচার হবে চ্যানেলটিতে। আরটিভিতে এবারের ঈদের উল্লেখযোগ্য নাটক হচ্ছে- আরিফ রহমান পরিচালিত ধারাবাহিক ‘প্যারা-৪’, মাসুদ সেজানের ধারাবাহিক ‘ছোটলোক’, সাগর জাহান নির্মিত ‘মাহিনের নীল তোয়ালে’, আজাদ কালামের ‘যমজ-৭’, গোলাম সোহরাব দোদুলের ‘প্রিয় রঞ্জনা’, অরণ্য আনোয়ারের টেলিফিল্ম ‘আহত পাখির গান’, সাগর জাহানের পরিচালনায় জাহিদ হাসান ও তিশা জুটির ‘মাখন মিয়ার অদ্ভুত বউটা’।
বাংলাভিশনেও থাকছে ঈদের ভিন্ন আয়োজন। এর মধ্যে রয়েছে- সাগর জাহানের পরিচালনায় অ্যাভারেজ আসলাম ইজ নট ব্যাচেলর, সালাহউদ্দিন লাভলুর ‘ এখানে প্রেম করা নিষেধ’, তৌকীর আহমেদের ‘পিকনিক’, সৈয়দ শাকিলের ‘গোয়েন্দা ঘটক’, হিমেল আশরাফের ‘গল্পের শেষ নেই’সহ পয়ত্রিশটি নাটক-টেলিছবি।
মাছরাঙা টিভিতে দিপু হাজরা পরিচালিত ‘আহত গন্তব্য’সহ প্রায় বিশটিরও বেশি নাটক প্রচার হবে। দর্শক চাহিদার কথা মাথায় রেখে পবিত্র ঈদুল ফিতরে এশিয়ান টিভিও ৭ দিনব্যাপী বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার করবে। এ মধ্যে রয়েছে সাত দিনের বিশেষ ধারাবাহিক নাটক ‘বোকা আবুল’, ‘বউ পাগল’, ‘অতি চালাকের গলায় দড়ি’ ‘রসগোল্লা’, ‘জাপানি ভিসা’, ‘খালি কলসি বাজে বেশি’, ‘ভেল্কিবাজি’। একক নাটকের মধ্যে রয়েছে ‘হানিমুন’, ‘ছাওয়াল’, ‘লাস্ট ডেট অব সুইসাইড’, ‘ওয়ান টু সিক্স’, ‘প্রক্সি’, ‘সরল প্রেম’ ও ‘গল্পের নামটি চূড়ান্ত নয়’।
দীপ্ত টিভিতেও থাকছে ঈদের তারকাবহুল নাটক। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- ‘আরেকটি বিড়াল বিড়ম্বনা’, ‘বাবুগিরি’,‘ইতি ভালোবাসা’, ইত্যাদি।