বরিশাল প্রতিনিধি
বরিশাল-৪ (হিজলা মেহেন্দীগঞ্জ) আসনের সাংসদ পঙ্কজ দেবনাথের বিরুদ্ধে বাসে পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ করে চালকসহ ১১ যাত্রী হত্যার অভিযোগ আনলেন তাঁর নিজদলীয় নেতা বরিশাল জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মইদুল ইসলাম। মঙ্গলবার (২৩ মে) দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে নিজ দলের নেতার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ তুলে ধরেন মইদুল।মইদুল এর আগে ওই আসনের সাংসদ ছিলেন।
বরিশালে জেলা পরিষদের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মইদুল বলেন, ২০১৪ সালে ২ ডিসেম্বর শাহবাগের বিহঙ্গ পরিবহন নামে যে বাসে পেট্রোলবোমা নিক্ষেপের ঘটনায় চালকসহ ১১ যাত্রী নিহতের ঘটনায় স্বেচ্ছাসেবকলীগের কেন্দ্রীয় নেতা পঙ্কজ দেবনাথ জড়িত। ওই পরিবহনের মালিক তিনি। তাঁর নির্দেশেই এই বোমা হামলা হয়। এ ঘটনার পর তিনি দলেরনেত্রীর সহানুভূতি অর্জনে সক্ষম হন এবং মনোনয়ন লাভ করেন।
তিনি আরও বলেন, হাওয়া ভবনের আর্শিবাদপুষ্ট এই নেতা এখন নৌকা দেখলেই গায়ে আগুন লাগে। নিজে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত হলেও বিগত উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বিরোধীতা করেছেন। একইভাবে পৌর নির্বাচনের সময়ে বিদ্রোহী প্রার্থী দাঁড় করিয়ে ছিলেন তিনি। ঠিক তেমনি এ চানপুর ইউনিয়ন পরিষরে উপনির্বাচনে দলের মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে বাহাউদ্দিন ঢালীকে প্রার্থী করিয়েছেন।
আর ওই প্রার্থীকে বিজয়ী করার লক্ষ্যে গত কয়েক দিন ধরে তার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা-নির্যাতন চালানো হয়।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, মঙ্গলবার সকাল থেকেই ভোট কেন্দ্রে প্রার্থীদের যেতে দেওয়া হয়নি। এবং কেন্দ্র থেকে এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মাহে আলম বেলা ১১ টায় ভোট বর্জন করেন।
মইদুল ইসলাম বলেন, স্কুলের দপ্তরী নিয়োগ থেকে শিক্ষক নিয়োগেও এমপি পঙ্কজ নাথ লাখ লাখ টাকা ঘুষ নিয়েছেন। এ নিয়ে প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করেও কোন লাভ হয়নি। খাস জমি বরাদ্দ দেয়ার নামে প্রায় ১০০ কোটি টাকা নিয়েছেন তিনি।
বিগত কয়েক বছরে তিনি উপজেলা জুড়ে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে। এ সম্পর্কে ইতোমধ্যে দলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছে অভিযোগ দেয়া হয়েছে।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে এমপি পঙ্কজ দেবনাথ সাংবাদিকদের বলেন, মইদুল ইসলাম জামায়াত -বিএনপির মুখপাত্র হয়ে কাজ কাজ করছেন। যে কারণে তিনি এমন অবান্তর অভিযোগ আনতে সাহস পেয়েছেন।
আগামী সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন লাভের জন্যই তিনি এসব বুলি আউরাচ্ছেন। যে কারণে হিজলা-মেহেন্দীগঞ্জবাসী মইদুলের ওপর ক্ষেপে রয়েছেন।”