আয়না ২৪ বরিশাল প্রতিনিধি
গত মঙ্গলবার (৬ জুন) বরিশালের দপদপিয়া খেয়াঘাটের দক্ষিণ প্রান্তে ক্যাটারম্যান টাইপের একটি নির্মাণাধীন লঞ্চে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে।
এতে অ্যাডভেঞ্চার-৬ নামের লঞ্চটির তিনটি তলার যাত্রীদের বসার আসনসহ সব আসবাবপত্র পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। মঙ্গলবার (৬ জুন) রাত ১০টার দিকে লঞ্চটিতে আগুন লাগে। এর এক ঘণ্টা পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ফায়রা সার্ভিসের উপ-পরিচালক শামিম আহসান এসব তথ্য জানিয়েছেন।শামিম আহসান জানান, স্থানীয়রা আগুন নেভাতে এগিয়ে আসলে ৫-৬ জনের মতো আহত ও ধোঁয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়েন।
আব্দুল হক নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, তারাবির নামাজের সময় হঠাৎ করেই নিজাম শিপিং লাইন্সের ডকে নির্মাণাধীন অ্যাডভেঞ্চার-৬ লঞ্চের দোতলায় আগুন দেখতে পান। ডকের কর্মী ও স্থানীয়রা তাৎক্ষণিকভাবে সেখানে গিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। তবে মুহুর্তের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এরপর ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার আগেই তিনতলা বিশিষ্ট লঞ্চটির সকল তলায় আগুন ছড়িয়ে পড়ে।
লঞ্চটির মালিকের স্বজন সাদ্দাম হোসেন জানান, ঘণ্টা দুয়েকের চেষ্টায় আগুন নেভানো হয়। তবে তার আগেই লঞ্চের সকল আসবাবপত্র পুড়ে ছাই হয়ে যায়।তিনি আরও জানান, তারাবির নামাযের জন্য নিজাম শিপিং লাইন্সের ডক-ইয়ার্ডের সামনের মসজিদে সবাই অবস্থান করছিলেন। ওইসময়ে ডকের ভেতরে সকল কাজ বন্ধ ছিল। বৈদ্যুতিক লাইনের কোনও কাজও ছিল না। এরই মধ্যে হঠাৎ করেই লঞ্চে আগুন লাগে।
মামুন হাওলাদার নামে লঞ্চ মালিকের অন্য এক স্বজনের অভিযোগ, ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের খবর দেওয়া হলেও তাদের বিলম্বের কারণে আগুন ভয়াবহ রূপ নেয়।
ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক শামিম আহসান জানান, ফায়ার সার্ভিসের বরিশাল নৌ-স্টেশনের জাহাজের সঙ্গে আরও ৬টি ইউনিট যোগ হয়ে আগুন নেভানোর কাজ করে। তবে আগুন লাগার সূত্রপাত কিংবা ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সম্পর্কে তদন্ত কমিটি গঠন ছাড়া কিছুই বলা সম্ভব হবে না।
লঞ্চ মালিক নিজাম উদ্দিন জানান, ১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে লঞ্চটি নির্মাণ করা হচ্ছে। বেশিরভাগ কাজই শেষ হয়ে গিয়েছিল। আগুন লাগায় পুরো লঞ্চটিই ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। তবে কিভাবে আগুন লেগেছে এ ব্যাপারে তিনিও কিছু জানাতে পারেননি।