• Home  / 
  • বরিশাল  / 

বরগুনা-বরিশালের চার ইউপিতে নির্বাচনঃ আ.লীগ-বিএনপি প্রার্থীর ভোট বর্জন

Spread the love
 বরিশাল ও বরগুনা প্রতিনিধি
বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জ, উজিরপুর, হিজলার উপজেলার তিনটি  এবং বরগুনা জেলার তালতলী উপজেলার একটি ইউনিয়নে আজ  মঙ্গলবার শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে।  
তবে  ভোটে অনিয়ম আর এজেন্টদের বের করে দেওয়ার অভিযোগ এনে উজিরপুর উপজেলার শিকারপুর ইউনিয়নের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী কামরুজ্জামান ওরফে পিকিং এবং মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার চাঁনপুর ইউনিয়নের আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী মাহে আলম ঢালী দুপুর ১১ টার দিকে  ভোট  বর্জনের ঘোষণা দেন। 
এদিকে ভোট বর্জনের ঘোষণা নিয়ে পাল্টাপাল্টি বক্তব্য পাওয়া গেছে। শিকারপুর ইউনিয়নে বিএনপি প্রার্থী কামরুজ্জামান অভিযোগ করেন, ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার পর  আ.লীগ প্রার্থী ও তাঁর সমর্থকেরা ভোটকেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় এবং  সবগুলো কেন্দ্র থেকে তাঁর এজন্টদের বের করে দেয়।  তবে  আওয়ামীলীগ প্রার্থী মো. সরোয়ার হোসেন এসব অভিযোগ  অস্বীকার করে  বলছেন, ভোটে নিশ্চিত পরাজয় আঁচ করতে পেরে  বিএনপি প্রার্থী আগাম ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন।’  তাঁর দাবি, নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে চলছে।
অপরদিকে মেহেন্দীগঞ্জের চাঁনপুর ইউনিয়নে আওয়ামীলীগ মনোনীত  প্রার্থী মাহে আলম ঢালী অভিযোগ করেছেন, সকালে ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার কিছু পর আমার এজন্টেদের কেন্দ্র থেকে বের করে দিয়েছেন আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী  বাহাউদ্দীন ঢালী ও তাঁর সমর্থকেরা। এমনকি স্থানীয় সাংসদের র্নিদেশে ভোটের আগে থেকেই আমার কর্মী-সমর্থকদের মারধর-হুমকি দিয়ে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করা হয়। সোমবার আমাকে  (মাহে আলম) বাড়িতে অবরুদ্ধ করে রাখে বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থক ক্যাডারেরা।
উজিরপুর উপজেলার শিকারপুর ইউপি নির্বাচনে একটি কেন্দ্রে ভোট দিতে সারিবদ্ধভাবে অপেক্ষায় আছেন ভোটারেরা ছবি-আয়না২৪
একই অভিযোগে এই ইউনিয়নে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন বিএনপি প্রার্থী আমির হোসেন দেওয়ান।
তবে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী বাহাউদ্দীন ঢালী অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, নিজেেদের পরাজয় নিশ্চিত হয়ে ওই দুই প্রার্থী ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন। কিন্তু এতে   ভোটগ্রহণে কোনো প্রভাব পড়েনি।  সাধারণ ভোটারেরা দলে দলে কেন্দ্রে এসে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিচ্ছেন। কোনো ধরনের বিশৃখলা নেই।’
 অপরদিকে হিজলার ধূলখোলা ইউনিয়ন ও বরগুনার তালতলী উপজেলার সোনাকাটা ইউনিয়নে সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। এই দুই ইউনিয়নে  কোনো  বিশৃংখলার খবর পাওয়া যায়নি এবং কোনো প্রার্থী ভোট বর্জনের সিদ্ধান্ত নেয়নি।
 
এসব ইউনিয়নের মধ্যে   শিকারপুরে  ভোটার সংখ্যা ১১হাজার ৮৬১ জন, ধুলখোলায় সাত হাজার ৩২৭জন, চাঁনপুর ইউনিয়নে ১৫হাজার ৫৩৬ জন এবং তালতলীর সোনাকাটা ইউনিয়নে ৮ হাজার ২০৮ জন।