আয়না ২৪ প্রতিনিধি, বরগুনা
আজ বরগুনা সরকারি কলেজে বরগুনা জেলার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অধীন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের (বিসিসি) লিভারেজিং আইসিটি ফর গ্রোথ গভর্নেন্স (এলআইসটি) প্রকল্পের আইসিটি ক্যারিয়ার ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়। এ উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যকে সামনে রেখে সরকার একুশ শতকের উপযোগী দক্ষ মানব সম্পদ গড়ে তুলছে। বিশ্বমানের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তৈরি করা হচ্ছে তথ্যপ্রযুক্তিতে প্রশিক্ষিত জনবল । দেশের শিক্ষিত তরুণ-তরুণীদের এ সুযোগকে কাজে লাগানোর জন্য এগিয়ে আসতে হবে।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বরগুনা জেলার জেলা প্রশাসক ড. মো: বশিরুল আলম, বরগুনা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ, বরগুনা সরকারি কলেজের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো: আব্দুস সালাম, এলআইসিটি প্রোজেক্টের কনসালটেন্ট শাহ মো: ইমরান, ডি-ক্যাস্টিলা এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা সাবিলা ইনুন, বরগুনা সরকারি কলেজের দর্শন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও আইসিটি ইনচার্জ মতিউর রহমান । এছাড়াও উক্ত কলেজর বিপুল সংখ্যক শিক্ষক ও শিক্ষার্থী এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।
বক্তারা তাদের বক্তব্যে বলেন, সরকার ২০২১ সালের মধ্যে আইটি পেশাজীবির সংখ্যা বর্তমান সাত লাখ থেকে ২০ লাখে উন্নীত করতে চায়। এজন্য নানামূখী কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। আইটি শিল্পের চাহিদা অনুযায়ী এলআইসিটি প্রকল্পের মাধ্যমে আইটিতে বিশ্বমানের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ৪৫ হাজার দক্ষ মানব সম্পদ গড়ে তুলছে। দেশব্যাপী অব্যহত রয়েছে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম। এছাড়াও চলমান রয়েছে ‘লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং ডেভেলপমেন্ট’ প্রকল্পের মাধ্যমে ৫৫ হাজার ফ্রিল্যান্সার তৈরির প্রশিক্ষণ। তাছাড়া বিসিসিতে অব্যাহতভাবে তথ্য প্রযুক্তির নানা বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে।
জেলা প্রশাসক ড. মো: বশিরুল আলম তার বক্তব্যে বলেন, আইসিটি ডিভিশনের অধীনে এলআইসিটি প্রজেক্টের মাধ্যমে সারাদেশ ব্যাপী ছাত্র-ছাত্রীদের দ্বারপ্রান্তে যে ট্রেনিং-এর ব্যবস্থা করা হচ্ছে ছাত্র-ছাত্রীরা যেন তার সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করে। একই সাথে তরুণ সমাজকে আইটিতে তাদের ভবিষ্যত গড়ারও আহবান জানান।
এলআইসিটি প্রোজেক্টের কনসালটেন্ট শাহ মো: ইমরান তার বক্তব্যে কলেজের শিক্ষিত তরুণ-তরুণীদের তথ্যপ্রযুক্তিতে প্রশিক্ষণ গ্রহণের জন্য এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ায় অবদান রাখতে হলে শিক্ষিত তরুণ-তরুণীদের তথ্যপ্রযুক্তিতে প্রশিক্ষিত হওয়া ছাড়া কোন বিকল্প নেই।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে অনলাইন কুইজে অংশ গ্রহণের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মধ্যে থেকে একজন বিজয়ী শিক্ষার্থীকে ও অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে একজন শিক্ষার্থীকে উই মোবাইলের সৌজন্যে একটি করে স্মার্ট মোবাইল ফোন পুরষ্কার হিসেবে প্রদান করা হয়।