• Home  / 
  • বরিশাল  / 

প্রবল বর্ষণ ও ঝোড়ো আবহাওয়াঃ বাঁধ ভেঙে বরগুনার ৩০ গ্রামের মানুষ পানিবন্দি

পানিতে নিমজ্জিত আমতলী উপজেলার একটি গ্রাম ও পাশের সবজি থেত আজ সোমবার দুপুরে তোলা ছবি-আয়না২৪
Spread the love

 আমতলী প্রতিনিধি
বঙ্গোপসাগরে সৃ্ষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে প্রবল বর্ষণ ও জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেয়ে বরগুনার বেশ কয়েকটি এলাকার  বাঁধ ভেঙে পানি ঢুকে অন্তত ৩০ টি গ্রাম প্লাবিত হওয়ায় এসব গ্রামের প্রায় ৪০ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।
 আবহাওয়া বিভাগ বলছে,  মৌসুমী নিম্নচাপের প্রভাবে এই বৃষ্টিপাত হচ্ছে এবং এটা আরো কয়েকদিন অব্যাহত থাকতে পারে। এজন্য সমুদ্র বন্দরসমূহে তিন নম্বর সতর্ক সংকেত এবং নৌ বন্দরে ২ নম্বর সংকেত জারি করা হয়েছে। 
 পটুয়াখালীর কলাপাড়া আবহাওয়া কার্যালয়ের্শিআবহাওয়াবিদ মো, শাহ আলম মিয়া জানান, সোমবার সকাল ৬ টা থেকে বিকেল ৩ টা পর্যন্ত এই এলাকায় ৯৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।

নিম্নচাপের প্রভাবে বরগুনার বিষখালী,পায়রা নদী ও বলেশ্বর নদে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ১ মিটার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।বরগুনার আমতলী পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানাগেছে, গত দুদিনের বৈরি আবহাওয়া ও ভারী বর্ষণের প্রভাবে বঙ্গোপসাগর ও পায়রা নদীতে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে প্রায় ১ মিটার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে আমতলীর বালিয়াতলীর বয়াতি বাড়ি সংলগ্ন ২০০ মিটার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে বালিয়াতলী, ঘোপখালী, পশুরবুনিয়া, দক্ষিণ ঘোপখালী ও চরকগাছিয়া; তালতলী উপজেলার তেতুঁলবাড়িয়া এলাকার ১ কিলোমিটার ভাঙা বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ দিয়ে পানি ঢুকে তেতুলবাড়িয়া, নলবুনিয়া, আগাপাড়া ও মোয়াপাড়া গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

এছাড়া বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের বাইরে বঙ্গোসাগর ও পায়রা নদী সংলগ্ন তালতলী উপজেলার নিদ্রা-সকিনা, ফকিরহাট, তালুকদারপাড়া, নিশানবাড়িয়া, ফাতরা, খোট্টারচর, আশারচর, তালতলী, চরপাড়া, গাবতলী, লেমুয়া, মৌপাড়া, ছোটবগি, পচাঁকোড়ালিয়া, বালিয়াতলী, পশুরবুনিয়া, আড়পাঙ্গাশিয়া; আমতলী উপজলার ফেরিঘাট, লঞ্চঘাট, শ্বশ্মান ঘাট, আমুয়ারচর ও গুলিশাখালী গ্রাম পানিতে নিমজ্জিত হওয়ায় এসব এলাকার পরিবারগুলো পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে।

বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মশিউর রহমান  বলেন, ‌’তালতলীর তেতুঁলবাড়িয়া ও আমতলীর বালিয়তলীর বয়াতি বাড়ি সংলগ্ন বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ জোয়ারের তোড়ে ভেঙে গেছে। স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে সমন্বয় করে অল্প দিনের মধ্যেই কাজ শুরু হবে।’