আয়না২৪ প্রতিনিধি, বরিশাল
বরিশাল স্কুল ছাত্র হৃদয় হত্যার ঘটনায় ৬ আসামি গ্রেফতার এবং মামলার অগ্রগতি নিয়ে সংবাদিকদের অবহিত করেছেন নগর পুলিশ কমিশনার। রবিবার বিকেল সাড়ে ৪টায় নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে হত্যার নেপথ্যে দুটি কারণ বলে উল্লেখ করেন তিনি।
এসময় পুলিশ কমিশনার বলেন, নিহত হৃদয় গাজীর বন্ধু আহাদ যে মেয়েকে ভালোবাসতো সে মেয়েকে প্রতিপক্ষ সাইদের এক বন্ধুও ভালোবাসতে চেয়েছিল। এছাড়াও এই খুনের ঘটনায় অন্য কারণ হলো মাস খানিক আগে হৃদয়ের স্কুলের (আব্দুর রব সেরনিয়াবাদ সরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়) একই ক্যাম্পাসে শহীদ আরজু মনি সরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পিয়ন সাব্বির সরকার ট্রাউজার উল্টা করে পড়েন। এই বিষয়টি নিয়ে পাশ্ববর্তী টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের ছাত্র সাঈদ ও ৫-৬ জন সহপাঠী আপত্তিকর মন্তব্য করে। হৃদয় প্রতিবাদ করলে বচসা থেকে হাতাহাতি হয় সাঈদ গ্রুপের সাথে। এর জের ধরে ২৮ জানুয়ারী সকাল সাড়ে ৯টায় সাঈদ ও তার সহপাঠী টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের ৭/৮ জন কুপিয়ে হৃদয়কে জখম করলে এর ঘন্টাখানিক পর শের ই বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় হাসপাতালে মারা যায়। এসময় সাজিদ রাফি, রুবাইয়াত মাহাবুব ও ইয়ামিন নাহিয়ান আহত হয়।
ঘটনার পর নগর পুলিশ ও গোয়েন্দা পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে রবিবার শেষ রাত অবধি সাঈদ আবেদিন আব্দুল্লাহ ওরফে রাহাত (১৭), মুরাদ হোসেন (১৭), ইমন সিকদার (১৭). নুরুন্নবি নাহিদ (১৫) ও সৈয়দ মো. ইয়াসিন শান্তকে গ্রেফতার করা হয়। ছুরিকাঘাত করা আসামী মুরাদের দেয়া স্বীকারোক্তি অনুযায়ী শান্তর ভাড়াটিয়া বাসার পাশ থেকে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ছুড়িটি উদ্ধার করা হয়। ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদঘাটনের জন্য অন্য আসামীদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান নগর পুলিশ, কমিশনার। ৬ আসামী গ্রেফতার হওয়াতে মামলার আশি ভাগ অগ্রগতি হয়েছে বলে উল্লেখ করেন।