পবিপ্রবি প্রতিনিধি, দুমকি
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম লেখা স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পবিপ্রবি) ছাত্রলীগের হামলায় অন্তত ১০ শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় গেট সংলগ্ন এলাকায় এই হামলার ঘটনা ঘটে।
আহতদের উদ্ধার করে দুমকি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে গুরুতর আহত এক শিক্ষার্থীকে বরিশালের শের-ই-বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, পবিপ্রবির বিভিন্ন সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে রোববার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে লেখা পোস্ট করে কয়েকজন শিক্ষার্থী। এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত দুমকি এলাকার পক্ষের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বাউফল ও পটুয়াখালী পক্ষের শিক্ষার্থীদের মতবিরোধ সৃষ্টি হয়। ফেসবুকে পাল্টাপাল্টি পোস্ট ও কমেন্টস করে ওই দুই গ্রুপের শিক্ষার্থীরা। বাউফল-পটুয়াখালীর শিক্ষার্থীদের পক্ষ নিয়ে কমেন্টস করে পবিপ্রবি ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। এসময় ফেসবুকে লেখালেখিকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। এর জের ধরে সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় দ্বিতীয় গেট সংলগ্ন এলাকায় কৃষি অনুষদের সপ্তম সেমস্টিারের কাওছার-উজ-জামান সুমন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অনুষদের সপ্তম সেমিস্টারের বাদল শীল, একই অনুষদের তৃতীয় সেমিস্টারে সাগরের নেতৃত্বে বাউফল-পটুয়াখালী গ্রুপ সমর্থিত ছাত্রলীগের প্রায় ২০-২৫ নেতাকর্মী ধারালো অস্ত্র, পাইপ ও হকস্টিক নিয়ে দুমকি গ্রুপের শিক্ষার্থীদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়।
হামলার সময় পবিপ্রবি ছাত্রলীগের সভাপতি আনিসুজ্জামান আনিস ও সাধারণ আহমেদ রিমন উপস্থিত ছিলেন বলে দুমকি গ্রুপের শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছেন। এসময় ছাত্রলীগের হামলায় দৈনিক ইত্তেফাকের পবিপ্রবি সংবাদদাতা মোঃ নাঈম হোসেন, মৃত্তিকা বিজ্ঞানের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী আলআমিন হোসেন, মাৎস্য বিজ্ঞান অনুষদের তৃতীয় সেমিস্টারের শিক্ষাথী মোঃ সোহেল রানা, সিএসই অনুষদের পঞ্চম সেমিস্টারের মেহেদী হাসান, কৃষি অনুষদের প্রথম সেমিস্টারের লিপ্তসহ দশ জন আহত হয়। হামলায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আলামিনের একটি কান ছিঁড়ে পড়ে যায়। গুরুতর আহত আল মিনকে অজ্ঞান অবস্থায় শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে পবিপ্রবির প্রক্টর প্রফেসর পূর্ণেন্দু বিশ্বাস বলেন, পরিস্থিত শান্ত রাখতে পুলিশের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। ক্যাম্পাসের বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। হামলার বিষয় তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
দুমকি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দিবাকর চন্দ্র দাস বলেন, আইন-শৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে পবিপ্রবি ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে।