তালতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি
বরগুনার তালতলী উপজেলার ৭নং সোনাকাটা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের প্রচারনায় বাধা, প্রার্থীদের বাড়িতে অবরুদ্ধ রাখা, নেতাকর্মীদের হুমকি, মারধরসহ নানা অভিযোগ করা হয়েছে আওয়ামীলীগ সমর্থিত প্রার্থী ও তার কর্মী সমর্থকদের বিরুদ্ধে।
ওই ইউনিয়নের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী ফরাজী মো: ইউনুচ ও কবির আকনের পক্ষে রোববার দুপুরে বরগুনা প্রেসক্লাবে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে এসব অভিযোগ করা হয়েছে।
ফরাজী মো: ইউনুচ এর ছেলে ও বরগুনা জেলা পরিষদ সদস্য মো: হুমায়ুন কবীর সুজন অভিযোগ করে বলেন, তালতলী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগ সভাপতি মনিরুজ্জামান মিন্টুর নেতৃত্বে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করা হয়েছে। তিনি আওয়ামীলীগ সমর্থিত প্রার্থীর পক্ষ হয়ে অন্য প্রার্থীদের নানাভাবে হুমকি ধামকি দিচ্ছে। কোন প্রার্থীকে মাঠে প্রচার-প্রচারণায় নামতে দিচ্ছেন না। অন্যদিকে নৌকা প্রতীকের সমর্থকরা তাদের প্রচার-প্রচারণায় বাধা সৃষ্টি করছে। এমনকি নির্বাচনী পোষ্টার ব্যানার ছিড়ে ফেলা হয়েছে। তাদের দলীয় সন্ত্রাসীদের অব্যাহত তান্ডবে সাধারণ মানুষ বর্তমানে ভীতসন্ত্রস্ত। নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘন করে এলাকায় বেআইনী কার্যক্রম চালাচ্ছে। এক্ষেত্রে পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকাও রহস্যজনক বলে দাবি তাদের।
তাই ভোট গ্রহণের দিন প্রত্যেক কেন্দ্রে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট নিয়োগ, সিসি টিভি ক্যামেরা স্থাপন, পর্যাপ্ত পরিমান পুলিশ, র্যাব ও বিজিবি সদস্য মোতায়েন এবং ভোট গ্রহণের আগে স্বাধীনভাবে নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা চালানোর নিশ্চয়তার দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, এ পর্যন্ত নৌকা প্রতীকের সমর্থকদের হামলায় ফরাজী মো: ইউনুচ এর কর্মী শাহজাহান তালুকদার, আ. আলিম, মো. নাসির উদ্দীন, মো. শাহীন, ডালিম, ইউসুফসহ অন্তত ৮ থেকে ১০ জন আহত হয়েছে। এছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থীদের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয় আওয়ামীলীগ কর্মী তারেকুজ্জামান তারেক, রফেজ ফরাজী, হাফেজ ফরাজী, জলিল ফরাজীর নেতৃত্বে বহিরাগত সন্ত্রাসীরা স্বতন্ত্র দুই প্রার্থীর বাড়ীর চারপাশে গভীর রাত পর্যন্ত পাহারায় থাকে।
এ ব্যাপারে তালতলী উপজেলা চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান মিন্টু এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, নির্বাচনে আমরা সরকারের পক্ষে উন্নয়নের কথা বলি। তবে কাউকে হুমকি ধামকি দেয়ার কোন ঘটনা ঘটেনি বলে তিনি দাবী করেন।
এব্যাপারে তালতলী উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও রির্টানিং কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম জানান, ইতোমধ্যে দুই স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাছ থেকে লিখিত অভিযোগ পেয়ে নির্বাচন কমিশনে পাঠিয়েছি। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
তালতলী থানার ওসি কমলেশ চন্দ্র হালদার জানান, এব্যাপারে দুইজন স্বতন্ত্র প্রার্থীকে থানায় এসে তাদের সমস্যা জানানোর জন্য বলা হলেও তারা এখানে না এসে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করছেন। প্রতিদিন এই ইউনিয়নের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীরা সার্বক্ষনিক দ্বায়িত্ব পালন করছে বলে তিনি দাবী করেন।
আগামী ২৩ মে তালতলী উপজেলার সোনাকাটা ইউনিয়নে ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হবে।