আয়না২৪, প্রতিনিধি, বরগুনা
তালতলী উপজেলার কড়ইবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের আসন্ন নির্বাচনে ৪ নম্বর ওয়ার্ডের প্রতিদ্বন্দ্বী দুই ইউপি সদস্য প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে উভয়পক্ষের ১০ জন আহত হয়েছে। এসময় স্থানীয় ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতির বাড়ি-ঘর ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। রোববার গভীর রাতে এই সংঘর্ষ হয়।
আহতদের মধ্যে কয়েকজনকে বরগুনা ও আমতলী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ ৮ জনকে আটক করেছে।
স্থানীয় সূত্র জানায় , রোববার রাত ১১ টার দিকে কড়ইবাড়িয়া ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য প্রার্থী শিশির চন্দ্র হাওলাদারের কয়েকজন সমর্থক পূর্ব বেহালা গ্রামের প্রফুল্ল দেউরি নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে প্রচার করছিলেন। এ সময় প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী শ্যামল চন্দ্র দেবনাথের ছেলে সুজন দেবনাথ ও তার সমর্থক সুবীর মিস্ত্রি, শ্রীবাস দেবনাথ, শুভঙ্কর হাওলাদার ও আশিষ মণ্ডলসহ ১২-১৫ জন ওই বাড়িতে প্রবেশ করে। এসময় শিশির সমর্থকরা ঘরের বা্ইরে এসে শ্যামল সমর্থকদের কাছে গোপনে ওই বাড়িতে আসার বিষয়ে জানতে চাইলে দুপক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে উভয়পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে উভয় পক্ষের অমল চন্দ্র দেউরি, মিল্টন মজুমদার , কিশোর মজুমদার, লিটন চন্দ্র মজুমদার, প্রেমানন্দ, পলাশ, কৃষ্ণ চন্দ্র মজুমদার, মিন্টু , শ্রীবাস , অনুপ ও সবুর খান আহত হয়। গুরুতর আহত মিল্টন মজুমদার ও কিশোর মজুমদারকে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে এবং অমল চন্দ্র দেউরি ও প্রেমানন্দকে আমতলী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
পরে রাত ১ টার দিকে সদস্য প্রার্থী শ্যামল চন্দ্র দেবনাথের ছেলে সুজন দেবনাথ ও তার ২০-২৫ জন সমর্থক কড়ইবাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদারের বাড়িতে হামলা চালায় এবং ঘরের মধ্যে ঢুকে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। পরে তালতলী থানার একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং দুপক্ষের ৮ সমর্থকে আটক করে। সোমবার পুলিশ আটককৃতদের আমতলী ভ্রাম্যমান আদালতে সোপর্দ করা হলে আদালতের বিচারক ও আমতলীর ইউএনও মো. মুশফিকুর রহমান প্রত্যেককে এক হাজার টাকা করে আট জনকে আট হাজার টাকা জরিমানা করেছেন।
কড়বাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার মুঠোফোনে অভিযোগ করেন, শ্যামল চন্দ্র দেবনাথের ছেলে সুজন দেবনাথ ও সুমন দেবনাথসহ ২০-২৫ জন সমর্থক আমার বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর চালিয়েছে। আমি বাঁধা দিলে আমাকেও মারধর করে সন্ত্রসিীরা।
শ্যামল চন্দ্র দেবনাথ মুঠোফোনে আওয়ামী লীগ সভাপতি কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদারের বাড়িতে হামলা কথা অস্বীকার করে বলেন, আমার সমর্থকদের শিশিরের লোকজন মারধর করেছে।
তালতলী থানার ওসি কমলেশ চন্দ্র হালদার বলেন, দুই উপি সদস্য প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে নিবার্চনী প্রচার চালানোর সময় সংঘর্ষ হয়েছে। খরব পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় উভয় পক্ষের আটজনকে আটক করা হয় তবে এ ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।