আমতলী প্রতিনিধি
আমতলী থেকে তালতলী ও ফকিরহাট পর্যন্ত সবগুলো রুটে বাসভাড়া অর্ধেক নির্ধারণ করার পর আজ মঙ্গলবার এই রুটে চলাচলকারী মাহেন্দ্রর ভাড়াও অর্ধেকে নামিয়ে আনা হয়েছে। মাহেন্দ্র মালিকদের ভাড়া কমানোর ঘোষণা দেওয়ার পর আজ মঙ্গলবার বাস মালিকেরাও আরেক দফা ভাড়া কমিয়েছেন।
আমতলী-তালতলী-ফকিরহাট পর্যন্ত ৪০ কিলোমিটার সড়কে বাস ও তিন চাকার যানে আগে ৮০ টাকা নেওয়া হতো। সোমবার বাস মালিক সমিতি এই ভাড়া কমিয়ে তা ৪০ টাকা করে।
এ ছাড়া আমতলী-তালতলী ৩০ কিলোমিটার সড়কে আগের ৬০ টাকার স্থলে কমিয়ে ভাড়া ৩০ টাকা করা হয়। একইভাবে আমতলী-কড়াইবাড়িয়া ২০ কিলোমিটারে ৪০ টাকার স্থলে ২০ টাকা, আমতলী-কচুপাত্রা ১২ কিলোমিটারে ২৫ টাকার স্থলে ১৫ টাকা, আমতলী-আড়পাঙ্গাশিয়া ৮ কিলোমিটারে ১০ টাকার স্থলে ৫ টাকা এবং আমতলী-মানিকঝুঁড়ি ৬ কিলোমিটার সড়কে আগে ৫ টাকা নেওয়া হলেও এখন বিনা ভাড়ায় বাসে যাত্রী পরিবহন করা হচ্ছে।
সোমবার বাস মালিক সমিতি ভাড়া কমানোর পর আজ মাহেন্দ্র মালিকেরা বাস ভাড়ার সঙ্গে সমন্বয় করে তাদের ভাড়া অর্ধেকে নামায়।
তিন চাকার যানের মালিকেরা ভাড়া কমিয়ে অর্ধেক করার ঘোষণা দেওয়ার পর আজ দ্বিতীয় দফায় আবার ভাড়া কমায় বাস মালিকেরা। দ্বিতীয় দফা বাস ভাড়া কমানোর পর আজ থেকে আমতলী – ফকিরহাট ৪০ কিলোমিটারে ৮০ টাকা ভাড়ার স্থলে বাসে ভাড়া নেওয়া হচ্ছে ৩০ টাকা, মাহেন্দ্রে ৪০ টাকা। আমতলী – তালতলী ৩০ কিলোমিটারে ৬০ টাকা ভাড়ার স্থলে বাসে ভাড়া ২০ টাকা, মাহেন্দ্রে নিচ্ছে ৩০ টাকা। আমতলী-কড়াইবাড়িয়া ২০ কিলোমিটারে ৪০ টাকা ভাড়ার স্থলে বাসে ভাড়া ১৫ টাকা, মাহেন্দ্রে নিচ্ছে ২০ টাকা। আমতলী – কচুপাত্রা ১২ কিলোমিটারে ২৫ টাকা ভাড়ার স্থলে বাসে ভাড়া ১০ টাকা, মাহেন্দ্রে ১৫ টাকা। আমতলী – আড়পাঙ্গাশিয়া ৮ কিলোমিটারে বাস ও মাহেন্দ্রের ভাড়া ৫ টাকা। আমতলী- মানিকঝুঁড়ি ৬ কিলোমিটার ভাড়া ছিল ৫ টাকা। এখন উভয় পক্ষেই ফ্রি যাত্রী পরিবহন করছে।
তালতলী উপজেলা নিজাম উদ্দীনসহ কয়েকজন যাত্রী জানান, বাসে দীর্ঘদিন ধরে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় নিয়ে এ অঞ্চলের যাত্রীদের মধ্যে তীব্র চাপা ক্ষোভ ছিল। ভাড়া কমানোর জন্য যাত্রীদের পক্ষ থেকে মানববন্ধন পালনসহ কয়েক দফায় স্মারকলিপি দেওয়া হয়। কিন্তু বাস মালিকেরা যাত্রীদের দাবিতে অগ্রাহ্য করে গেছে। এ ছাড়া এই রুটে চলাচলকারী বাসগুলো লক্করঝক্কর। যাত্রীসেবা বলতে কিছু নেই। প্রতিনিয়ত বাসশ্রমিকদের হাতে যাত্রীদের নানাভাবে হেনস্তা হতে হতো। তাই বেশির ভাগ যাত্রীই মাহেন্দ্র ও ভাড়ায়চালিত মোটরসাইকেলে যাতায়াত করেন। ফলে বাসমালিকদের ব্যবসায় ধস নামায় এখন তারা ভাড়া কমানোর প্রতিযোগিতায় নেমেছে।