আয়না২৪ প্রতিনিধি, আমতলী
বরগুনার আমতলী উপজেলার আড়পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের ২০ টি খালে ১৪০ টি স্থানে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করায় পুরো ইউনিয়নের পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে গেছে। এতে এ বছর ওই ইউনিয়নের কৃষকেরা বোরো ও রবি ফসল আবাদ করতে পারেননি। এসব খালের বন্দোবস্ত বাতিল করে বাঁধ অপসারণ করার দাবিতে আজ মঙ্গলবার সকালে এলাকার কয়েক হাজার কৃষক ও সাধারণ মানুষ আড়পাঙ্গাশিয়া বাজারে মানববন্ধন করেছেন।
এলাকার ভূক্তভোগী কৃষকেরা জানান, উপজেলার আড়পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নে ২০ টি খাল প্রবাহিত হচ্ছে। এসব খালের মধ্যে রয়েছে, পাতাকাটা খাল , হুমার খাল, আছরদ্দির খাল, বরুখার খাল, কচাবুনিয়া খাল, বায়ের খাল, মিরার খাল, শিংরাবুনিয়া খাল, কলতলা খাল, উত্তর তারিকাটা খাল, পিটতলার খাল, দিঘির খাল, জিনবুনিয়া খাল, চরকগাছিয়া খাল, তাফালবাড়িয়া খাল, আমরাঝুড়ি খাল, জালের তবক খাল, কোশের খাল, ডাঙ্গার খাল, গাজীর খাল ও খোন্তাকাটা খাল।
কৃষকদের অভিযোগ, এই ২০ টি খালকে কৃষি জমি দেখিয়ে স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা আমতলী ভুমি কার্যালয় থেকে বন্দোবস্ত নিয়েছেন। ২০০৯-২০১০ সালে ভূমি কার্যালয়ের কর্মকর্তারা এসব খালে ১৪০ জনকে বন্দোবস্ত দেয়। বন্দোবস্তপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা খালগুলোতে ১৪০ টি বাঁধ দিয়ে মাছ চাষের জন্য ঘের বানিয়ে মাছ চাষ করছেন। ফলে এসব খালের পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে বর্ষা মৌসুমে পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় পুরো ইউনিয়নটির ফসলি জমি জলাববদ্ধতার কবলে পড়ে। আর গ্রীষ্ম মৌসুমে পানির অভাবে সেচ দিতে না পারায় বোরো ও রবি ফসল ফলাতে পারছেন না কৃষকেরা।
এসব খালের বন্দোবস্ত বাতিল করে বাঁধ অপসারণ করার দাবিতে গতকাল মঙ্গলবার সকালে আড়পাঙ্গাশিয়া বাজারে কয়েখ হাজার কৃষক মানববন্ধন ও সমাবেশ করেন।
এ সময় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, গ্রামীন ব্যাংকের অবসরপ্রাপ্ত মহাব্যবস্থাপক ও জামাল উদ্দিন বিশ্বাস, মুক্তিযোদ্ধা আলাউদ্দিন আল আজাদ, জাকির হোসেন, ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি হুমায়ুন কবির, জয়নাল আবেদীন, আবদুল মজিদ হাওলাদার ও প্রবীন শিক্ষক মজিবুর রহমান।