আয়না২৪ প্রতিনিধি আমতলী (বরগুনা)
বরগুনার আমতলী উপজেলার রাওঘা গ্রামের যৌতুক মামলায় ৫ বছরের সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি নুরভানু ও তাঁর ছেলে এনামুল মিয়াকে গ্রেপ্তারের পর আজ বৃহস্পতিবার তাদের কারাগারে পাঠিয়েছেন আমতলী উপজেলা জ্যৈষ্ঠ বিচারিক হাকিম বৈজয়ন্ত বিশ্বাস।
আদালত সূত্রে জানাগেছে, ২০১০ সালে উপজেলার রাওঘা গ্রামের কুদ্দুস মিয়ার ছেলে এনামুল মিয়ার সাথে পার্শ্ববতী চিলা গ্রামের রফিক হাওলাদারের মেয়ে শাবরিনার বিয়ে হয়। বিয়ের এক বছর যেতে না যেতেই এনামুল প্রথম স্ত্রীর চাচাতো বোন নুরুন্নাহারের সঙ্গে প্রেমে জড়িয়ে পালিয়ে বিয়ে করে। দ্বিতীয় বিয়ের পর থেকে এনামুল শাবরিনাকে যৌতুকের দাবীতে নির্যাতন করতো। এ ঘটনায় শাবরিনা আমতলী জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে ২০১৪ সালে স্বামী এনামুল মিয়া ও শাশুড়ি নুরভানু ও সতিন নুরুন্নাহারসহ চারজনকে আসামি করে যৌতুক মামলা দায়ের করেন।
২০১৫ সালে আদালতের বিচারক বৈজয়ন্ত বিশ্বাস সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে যৌতুক নিরোধ আইনের ৪ ধারায় চার আসামিকে ৫ বছরের কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে এক বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেন। আসামিরা দীর্ঘদিন পলাতক ছিল। বুধবার পলাতক আসামি এনামুল মিয়া ও তার মা নুরভানুকে ঢাকার ফতুল্লা থানার পুলিশ আটক করে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে পুলিশ তাদেরকে আমতলী উপজেলা জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে হাজির করলে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।