অনলাইন ডেস্ক
মিশরের দ্য গ্রেট পিরামিডের ভেতর মিলল বিশাল আয়তনের এক গুপ্ত কক্ষ। আকৃতিতে ওই কক্ষ একটি যাত্রীবাহী বিমানের সমান বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। প্রায় ৪৫০০ বছর ধরে এই গুপ্ত কক্ষের খোঁজ কেউ পায়নি। কারো পা-ও পড়েনি।
প্রাচীন মিশরে ফ্যারাও খুফুর পিরামিডের ভেতর সম্প্রতি আবিষ্কৃত হয়েছে এই চতুর্থ কক্ষটি। গবেষকরা ‘কসমিক রে মোন রেডিওগ্রাফি’ নামের এক অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে পিরামিডটির ভেতর নিত্যনতুন রহস্যের খোঁজ পাচ্ছেন। এক্স রে যেমন মানবদেহের এদিক থেকে ওদিক ভেদ করে যেতে পারে, এই নয়া প্রযুক্তি সেভাবেই কয়েকশ মিটার পাথরকে এফোঁড় ওফোঁড় করে চলে যেতে পারে মূল কাঠামোর কোনো ক্ষতি না করেই।
এতদিন পর্যন্ত এই পিরামিডে রাজা ও রানির জন্য একটি করে দৈত্যাকৃতির কামরা ছাড়া আর একটি মাত্র গ্যালারিরই খোঁজ মিলেছিল। কিন্তু এবার এমন একটি কক্ষর খোঁজ পাওয়া গেল, যার ভিতরে যে কী লুকিয়ে থাকতে পারে, ভেবেই কূলকিনারা পাচ্ছেন না গবেষকরা। ‘স্ক্যান পিরামিড’ প্রকল্পের অন্যতম শীর্ষ কর্তা মেহদি তায়ুবি বলছেন, ‘কক্ষটি বিশাল। প্রায় ২০০ জন যাত্রী বসার জায়গা বিশিষ্ট বিমানের সমান।’ ২০১৫ থেকে খুফুর পিরামিড নিয়ে গবেষণা চালাচ্ছেন এই প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত গবেষকরা। সংবাদ সংস্থা এএফপির কাছে সম্প্রতি তাঁদের খোঁজ নিয়ে মুখ খুলেছেন প্রকল্পের গবেষকরা। মানুষের কাজ শেষ হয়ে এলে, পিরামিডের ভিতর ভবিষ্যতে রোবট ঢুকিয়ে আরও তথ্য বার করে আনার কাজ চলবে। আর সেখান থেকেই বেরিয়ে এসেছে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য।
এমনিতেই মিশরে পিরামিডের অভাব নেই। অভাব নেই পিরামিড সংক্রান্ত নানা জনশ্রুতি ও গল্পেরও। প্রত্যেক গল্পের পরতে পরতে লুকিয়ে রয়েছে রহস্য। কায়রোর অন্যতম বড় ও প্রাচীন পিরামিড হল এই খুফুর পিরামিড। আজও ১৩৯ মিটার উঁচু ও ২৩০ মিটার চওড়া এই পিরামিড কীভাবে তৈরি হয়েছে, মানবজাতির কাছে আজও অজানা। আদি দুনিয়ার সাত আশ্চর্যের মধ্যে অবশিষ্ট একমাত্র সৌধ। মানুষের হাতে তৈরি এই পিরামিডের যত ভিতরে ঢুকছেন গবেষকরা, ততই যেন তাজ্জব বনছেন।
তায়ুবি স্বীকার করে নিচ্ছেন, পিরামিডের ভিতর গুপ্ত কক্ষ ঘর বা থাকে, সেটা অনেকেই মনে করেন। কিন্তু সেটা যে এত বড় হবে সেটা কেউই আন্দাজ করতে পারেননি। কেন এত বড় ঘরটি তৈরি করা হয়েছিল, সেটা এখনও অজানা। গ্র্যান্ড গ্যালারির ঠিক উপরে প্রায় ৯৮ ফুট লম্বা এই কক্ষ খুফুর সমাধির সঙ্গে একটি গোপন সুরঙ্গের সাহায্যে যুক্ত। দেখে নিন এই আবিষ্কারের ভিডিও: