আয়না ২৪ ডেস্ক
ভারতের রাজস্থানে একটি পারিবারিক আদালত ২৪ বছর বয়সী এক গৃহবধূর আবেদন মেনে তার বিবাহ-বিচ্ছেদের আবেদন মঞ্জুর করেছেন, কারণ তার স্বামী বারবার বলা সত্ত্বেও বাড়িতে শৌচাগার বানিয়ে দিতে রাজি হননি।
ভারতের টাইমস অব ইন্ডিয়া পত্রিকার মতে সারা দেশে সম্ভবত এটিই প্রথম ঘটনা যেখানে বাড়িতে শৌচাগার না থাকার কারণে আদালত কোনো দম্পতির বিবাহ বিচ্ছেদে সম্মতি দিল।
রাজস্থানের ওই মেয়েটির বিয়ে হয়েছিল ২০১১ সালে। বিয়ের চার বছর বাদে তিনি আদালতে অভিযোগ করেন বারবার অনুরোধ জানানো সত্ত্বেও তার স্বামী বাড়িতে শৌচাগার বা স্নানঘর বানিয়ে দিচ্ছেন না, যার ফলে মলত্যাগ বা গোসল করার জন্য তাকে বাইরে যেতে হচ্ছে।
আদালতে করা আবেদনে তিনি আরো জানান, বাইরে মলত্যাগ করতে যাওয়ার জন্য তাকে দিনের আলো পড়া বা সন্ধ্যাবেলা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয় – যেটা তার আত্মমর্যাদার জন্য চরম অবমাননাকর বলে তিনি মনে করেন।
তবে তার স্বামী আদালতকে বলেন, স্ত্রীর এই দাবি তার মতে খুবই ‘অস্বাভাবিক’, কারণ তার গ্রামের বেশিরভাগ মহিলাই বাইরে প্রকাশ্য স্থানে মলত্যাগ করতে যান।
কিন্তু আদালত মনে করেছে বাড়িতে শৌচাগার না-বানানোটা একজন মহিলার শালীনতা ও সম্ভ্রমের জন্য অত্যন্ত হানিকর এবং এই যুক্তিতেই মামলা দায়ের হওয়ার দুই বছরের মাথায় তারা এই বিবাহ বিচ্ছেদ মঞ্জুর করেছেন।
পারিবারিক আদালতের বিচারক আরো মন্তব্য করেছেন, “আমরা মদ-সিগারেট, স্মার্টফোন – এমন অনেক কিছুর পেছনে খরচ করতে কোনো দ্বিধা করি না – কিন্তু পরিবারের সম্মান বাঁচায় যে শৌচাগার, সেটা বানাতেই আমাদের প্রবল অনীহা !
আন্যদিকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতায় আসার পর যে ‘স্বচ্ছ ভারত অভিযান’ শুরু করেছেন, তাতেও দেশের প্রতিটি বাড়িতে নিজস্ব শৌচাগার বানানোর ওপর জোর দেয়া হচ্ছে।
গ্রামে গ্রামে প্রতিটি পরিবারে শৌচাগার বানানোর জন্য মিলছে কিছুটা সরকারি ভর্তুকিও।
বাড়িতে নিজস্ব টয়লেট বা শৌচাগার থাকাটা যে বিশেষ করে পরিবারের বউ-মেয়েদের জন্য কতটা জরুরি, সেই বার্তটাই এই সিনেমাটির মূল কথা।সিনেমাটির মুল কথা হলো টয়লেট এর প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া ।