আয়না ২৪ প্রতিনিধি
গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১ টার দিকে রাজধানীর তুরাগের কালিয়ারটেক এলাকায় একটি বাসা থেকে তিন শিশু সন্তানসহ মায়ের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিহতরা হলেন রেহেনা পারভীন (৩৪), তাঁর বড় মেয়ে শান্তা (১৩), ছোট মেয়ে শেফা (৯) ও ১১ মাস বয়সী ছেলে সাদ।
রেহেনার স্বামীর কাছ থেকে পাওয়া প্রাথমিক তথ্যের বরাত দিয়ে তুরাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবে খুদা জানান, গতকাল দিবাগত রাত ১২টার পর রেহেনার স্বামী মোস্তফা কামাল বাসায় ফিরে দেখতে পান, তিন শিশুর লাশ খাটের ওপর পড়ে আছে। তাদের গলায় ওড়না দিয়ে গিঁট দেওয়া ছিল। আর পাশের রুমে রেহেনা বেগমকে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গেছে।
পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাঁদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হলে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তিন শিশুসহ মাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ওসি জানান, এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। তাঁদের মৃত্যুর বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। নিহতদের মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান ওসি।
স্থানীয়রা জানায় রেহেনার শ্বাশুরী, দেবর এবং ননদের সাথে রেহেনার জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। এ কারনেই এ হত্যাকান্ড হতে পারে বলে কয়েকজন জানান। রেহেনার দুলাভাই বলেন, “রেহেনার শ্বশুরবারীর লোকজনের সাথে আমার শ্যালিকার ভাল সম্পর্ক ছিল না। শ্বাশুরী কখনোই তাকে (রেহেনাকে) ভাল চোখে দেখতেন না। রেহেনার স্বামীও এ ব্যাপারে মিল-মিশ করতে পারেনি।”
কিছুদিন আগে রেহেনার শ্বাশুরী ও দেবর তাদেরকে ঘরের জমি থেকে দখল ছেড়ে দিতে বলে। কিন্তু রেহেনা জমি না ছাড়ায় এ হত্যাকান্ড হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।