আয়না২৪ প্রতিবেদন
কাজ দেওয়ার নাম করে শিশুদের দিয়ে মাদ্রাসা ও এতিমখানার নামে ভিক্ষাবৃত্তি করানোর অভিযোগে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় দুই প্রতারককে আটক করেছে পুলিশ। এ সময় প্রতারকদের বাড়ি থেকে ৫ শিশুকে উদ্ধার করা হয়। পাজামা, পাঞ্জাবি ও টুপি পরানো অবস্থায় ওই শিশুদের উদ্ধার করা হয়।
শনিবার ফতুল্লার শাসনগাঁও এলাকার মোকলেস আলীর বাড়ি থেকে তাদের আটক করা হয়। রোববার বিকেলে দুই প্রতারককে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে সাতদিন করে কারাদণ্ড দেওয়া হয় এবং শিশুদের অভিভাবকের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন রংপুর জেলার তারাগঞ্জ থানার সয়ারদিঘর গ্রামের মৃত. সামসুল উদ্দিনের ছেলে আবু সাইদ (৩৮) ও একই জেলার বদরগঞ্জ থানার কুদিয়ারপাড়া গ্রামের সেরাজুল ইসলামের ছেলে শহিদুল ইসলাম (৩২)।
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) তাসমিন জেবিন বিনতে শেখ ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে তাদের দুইজনকে সাতদিন করে কারাদণ্ড দেন।
উদ্ধার শিশুরা হলো ইয়ানুর ইসলাম (৮), ফেরদৌস (৯), সোহরাব (৭), মমিনুল ইসলাম (৮) ও জাহিদুল ইসলাম (১০)। তাদের প্রত্যেকের বাড়ি রংপুর জেলার বিভিন্ন গ্রামে।
ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল উদ্দিন বলেন, এলাকাবাসীর অভিযোগে এসআই নাজনীন আক্তার পঞ্চবটির শাসনগাঁও এলাকায় অভিযান চালিয়ে একটি বাসা থেকে ৫ শিশুসহ দুই প্রতারককে আটক করা হয়।
পরে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা বিষয়টি স্বীকার করে। এই প্রতারকরা দেশের বিভিন্ন জেলা হতে দরিদ্র পরিবারের সন্তান নারায়ণগঞ্জে নিয়ে এসে মাসিক বেতনে ভিক্ষাবৃত্তি করানো হয়।
এমনকি বিভিন্ন মাদ্রাসা ও এতিম খানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে চুক্তির মাধ্যমে সেই শিশুদের দিয়ে বাড়ি বাড়ি টাকা উঠানো হয়।
প্রতারকরা জানায়, রংপুর থেকে হতদরিদ্র পরিবারের শিশু সন্তানদের কাজ দেয়ার কথা বলে ৫ শিশুকে ফতুল্লায় নিয়ে আসে তারা। এরপর ইতিমখানার ছাত্র পরিচয়ে পুরনো পাঞ্জাবি পরিয়ে সড়কে দাঁড় করিয়ে ভিক্ষাবৃত্তি করানো হয়। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত শিশুদের দিয়ে এভাবে ভিক্ষাবৃত্তি করিয়ে দৈনিক একশ টাকা করে প্রত্যেক শিশুকে দেওয়া হয়। এছাড়া থাকা ও খাওয়া বহন করে ওই প্রতারকরা।