আয়না২৪ ডেস্ক
পৃথিবীর প্রত্যেক দেশকে ২০২০ সালের মধ্যে চাঁদে ও ২০২৫ সালের মধ্যে মঙ্গলে মহাকাশচারী পাঠানোর পরামর্শ দিয়েছেন বর্তমান বিশ্বের প্রধান পদার্থবিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং। মানবজাতির স্বার্থেই যত দ্রুত সম্ভব পৃথিবী ছেড়ে ভিনগ্রহে বা চাঁদে জনবসতি স্থাপনের পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
এই কসমোলজিস্ট আরো বলেন, “একটা বিষয়ে আমি নিশ্চিত যে মানুষকে এই পৃথিবী ছাড়তে হবে।” তিনি এও জানিয়েছেন, অবিলম্বে সৌর জগতের অন্য কোনও গ্রহে মানুষের থাকার বন্দোবস্ত করতে হবে। তাঁর বক্তব্য, “আরও দশ লক্ষ বছর মানবজাতিকে টিকিয়ে রাখতে এমন কোনও জায়গায় আমাদের বাড়ি তৈরি করতে হবে, যেখানে এর আগে কেউ পা রাখেনি।”
কেমব্রিজের এই অধ্যাপকের আশঙ্কা, আরও ১০ লাখ বছর মানবজাতিকে টিকিয়ে রাখতে হলে অবিলম্বে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করতে হবে। চাঁদ বা মঙ্গলে বাড়ি তৈরির প্রযুক্তি আবিষ্কার করতেই হবে। আগামী ১০০ বছর পর আমাদের চেনা পৃথিবীর আর কোনও অস্তিত্ব থাকবে না বলে মনে করেন হকিং।
আর সেই প্রযুক্তির খোঁজ পেতেই অবিলম্বে বিশ্বের সব দেশকে তাদের মহাকাশ গবেষণায় বাড়তি গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলেছেন তিনি। স্পেস প্রোগ্রামের ক্ষেত্রে যৌথ সঙ্গী খোঁজার উপর জোর দিতে বলেছেন তিনি।
নরওয়েতে এক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে তিনি স্পষ্ট করেন, পৃথিবীতে টিকে থাকা বেশিদিন সম্ভব নয়। বড়জোর আর ১০০ বছর। সূর্যের ক্রমবর্ধমান উত্তাপ বা ছুটে আসা কোনও গ্রহাণু ভবিষ্যতে যে কোনোদিন পৃথিবীকে তছনছ করতে দিতে পারে। তাই মানবজাতিকে রক্ষা করতে মহাকাশেই কোথাও না কোথাও মানুষের বসবাসের উপযুক্ত স্থান খুঁজে নেওয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন তিনি।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, পৃথিবীর সঞ্চয়ভাণ্ডারও ক্রমশ ফুরিয়ে আসছে। শস্য, পানীয় জল, কয়লা, খনিজ তেল এমনকী, ধাতব পদার্থর ভাণ্ডারও শেষ হওয়ার মুখে। বিকল্প শক্তির খোঁজ পেলেও সেই প্রযুক্তি দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহার করতে আগ্রহী হয়নি তেমন কোনও দেশ। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে পৃথিবীর উষ্ণতা। লাগামহীন জীবনযাত্রার জন্য প্রথম বিশ্বের দেশগুলি ব্যাপক হারে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন করছে এবং তা নিয়ে বিশেষ চিন্তিতও নয়।