আয়না ২৪ ডেস্ক
১ সেপ্টেম্বর কি ভয়ঙ্কর কিছু ঘটতে যাচ্ছে? নাসার গবেষকদের নয়া একটি তত্ত্বকে ঘিরে শোরগোল গোটা দুনিয়ায়। কেন পয়লা সেপ্টেম্বরই? নাসার গবেষকরা বলছেন, আগামী পয়লা সেপ্টেম্বর খুব বড় একটি গ্রহাণু পৃথিবীর কান ঘেঁষে বেরিয়ে যাবে।
শেষ মুহূর্তে গ্রহাণুটির গতিপথে সামান্য কোনো পরিবর্তন হলে পৃথিবীর যে কী দশা হবে, ভেবেই শিউরে উঠছেন নাসার গবেষকরা।
প্রায় সাড়ে চার কিলোমিটার দীর্ঘ এই গ্রহাণুটির নাম ‘ফ্লোরেন্স’। নাসার বিজ্ঞানীরা বলছেন, পৃথিবীর কাছাকাছি আসছে এমন কোনো মহাজাগতিক বস্তুর উপর নজর রাখার কাজ যেদিন থেকে শুরু হয়েছে, সেদিন থেকে আজ পর্যন্ত এত বড় কোনো গ্রহাণু পৃথিবীর এত কাছে আসেনি।
পয়লা সেপ্টেম্বর ‘ফ্লোরেন্স’ পৃথিবীর ৪.৪ মিলিয়ন মাইলের মধ্যে চলে আসবে। দূরত্বটা ঠিক কত? সহজ করে বললে, পৃথিবী থেকে চাঁদের দূরত্বের প্রায় ১৮ গুন। ভাবছেন, তাহলে আর চিন্তার কী আছে? চিন্তার বিষয় হচ্ছে এই গ্রহাণুর আকৃতি।
অবশ্য এরকম কোনো আশঙ্কা এখনো খাতায়-কলমে নেই। নাসার বিজ্ঞানীরা বলছেন, এমন নয় যে এর চেয়ে বেশি কাছাকাছি আর কোনো গ্রহাণু আসেনি। এসেছে। কিন্তু এত বড় আসেনি। ১৮৯০ থেকে আজ পর্যন্ত অন্তত আসেনি, ২৫০০ পর্যন্ত আসবেও না। নাসা যদিও কোনো সতর্কতা এখনো জারি করেনি।
কারণ, তাদের রেডারের হিসাব বলছে, পৃথিবী থেকে প্রায় ৭০ লাখ কিলোমিটার দূরত্ব বজায় রেখে ‘ফ্লোরেন্স’ বেরিয়ে যাবে। নাসার ‘সেন্টার ফর নিয়ার-আর্থ অবজেক্ট’-এর ম্যানেজার পল বলছেন, ‘ফ্লোরেন্সের আগেও বেশ কিছু পরিচিত গ্রহাণু পৃথিবীর গা ঘেঁষে বেরিয়েছে, কিন্তু সেগুলো ছোট।’
নাসা বলছে, সাধারণ টেলিস্কোপের সাহায্যে বিশ্ববাসী এই গ্রহাণু দেখতে পাবেন। তবে আজ না হোক কাল, এরকম কোনো গ্রহাণুর সঙ্গে পৃথিবীর সংঘর্ষ হবেই। বলছেন আন্তর্জাতিক গ্রহাণু দিবসে ইউরোপীয় স্পেস অপারেশন সেন্টারের প্রধান রল্ফ ডেনজিং।
খুব বড় নয়, মাত্র ১৪০ মিটারের কোনও গ্রহাণুই পৃথিবীর ব্যাপক ক্ষতি করতে যথেষ্ট বলে জানান তিনি। তবে আগামী ১০০ বছরে এমনটা হওয়ার কোনো ইঙ্গিত মেলেনি বিজ্ঞানীদের পক্ষ থেকে।