বরগুনার কথিত ব্লগার আসাদ নূর কারাগারে

ডিসেম্বর ২৭, ২০১৭
Spread the love

আয়না২৪ প্রতিবেদক

 শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে আটক বরগুনার আমতলীর বাসিন্দা কথিত ব্লগার আসাদ নূরকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ৷ মহানবী হয়রত মুহাম্মদ মুস্তফা (সা.) সম্পর্কে কটুক্তি ও অবমাননাকর মন্তব্য করায় তার বিরুদ্ধে তথ্য প্রযুক্তি আইনে মামলা করা হয়৷ ওই মামলার আরেক আসামি লিমন ফকিরকে আগেই গ্রেপ্তার করা হয়৷

পুলিশ জানায়, আসাদুজ্জামান নূর ওরফে আসাদ নূরকে সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার দিকে শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করে ইমিগ্রেশন পুলিশ৷ নূর নেপালের কাঠমাণ্ডু যাওয়ার জন্য বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন  পার হওয়ার সময় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়৷ তাঁর বিরুদ্ধে রেড নোটিশ ছিল, এ জন্য নূরকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে  মঙ্গলবার  বিমানবন্দর থানায় সোপর্দ করা হলে পুলিশ তাকে  ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠায়। 

অাসাদ নূর ও অপরজনের বিরুদ্ধে   বরগুনার আমতলী থানায় চলতি বছরের প্রথম দিকে  তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় একটি মামলা হয়৷

আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহীদ উল্লাহ বলেন, ‘মহানবীকে (সা.) নিয়ে কটূক্তি ও ধর্ম অবমাননার অভিযোগে ব্লগার আসাদ নূর ও তাঁর এক সহযোগী লিমন ফকিরের বিরুদ্ধে গত ১১ জানুয়ারি মামলা হয় ৷ মামলার পর লিমন ফকিরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ৷ কিন্তু আসাদ নূর এতোদিন পালিয়ে ছিলেন৷ কিছু দিন ভারতে পালিয়ে থাকার পর   দেশে ফিরে তিনি নেপালে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন ৷’

ওসি আরো  বলেন, ‘এই মামলায়  আসাদ নূর ও লিমন ফকিরের বিরুদ্ধে আগেই আদালতে অভিযোগপত্র  দিয়েছি৷ ঢাকায় আইসিটি ট্রাইব্যুনালে এই মামলার বিচারও শুরু হয়েছে৷ সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে তাঁদের লেখা, বক্তব্য এবং অন্যান্য তথ্য -প্রমাণ আদালতে দাখিল করেছি।

আসাদ নূরের মামা  ফারুক মৃধা  বলেন, ‘আসাদ নূরের বাবার বাড়ি গোপালগঞ্জে৷ তার বাবা-মা সিলেটে থাকেন৷ বাবা একজন স্কুল শিক্ষক৷ আমতলীর উত্তর টিয়াখালীতে মামার বাড়িতে তাদের বাড়ি আছে৷ মায়ের সম্পত্তিতেই তারা বাড়ি করেছে৷ শুনেছি সে মহানবীকে কটুক্তি করেছে। কিন্তু আমি নিজের চোখে দেখিনি যে সে কী ধরনের কটুক্তি বা  অবমাননা করেছে৷ 

মামলার বাদী ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ আমতলী উপজেলার সভাপতি  ওমর ফারুক  বলেন, ‘আমরা জানুয়ারি মাসে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করার আগেই আসাদ নূর এাঁকা থেকে পালিয়ে যায়৷ তবে তার সহযোগী লিমন ফকিরকে পুলিশ তখনই গ্রেপ্তার করে৷ আমরা মামলার সঙ্গে তাঁর দেওয়া ফেসবুক পোস্ট এবং ইউটিউব থেকে তার ভিডিও ‘ডাউনলোড’ করে জমা দিয়েছি৷ আসাদ ও তার সহযোগী আমাদের প্রিয় রসুল এবং ধর্মকে অবমাননা করেছে৷ 

তিনি আরও দাবি করেন, ‘‘আসাদ ও লিমন আমতলীতে ব্যবসা-বাণিজ্য করত৷ ব্যবসা করতে করতেই তারা নাস্তিকতায় জাড়িয়ে পড়ে৷ মুখেও আপত্তিকর কথা বলত৷”

আসাদ নূরের একটি ফেসবুক পেজ আছে নিজের নামেই৷ সেখানে তিনি নিজেকে ব্লগার, অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ও ইউটিউবার হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন৷ বলেছেন, ‘‘ধর্মান্ধতা দূর করা আমার জীবনের প্রধান লক্ষ্য৷” তবে সেখানেও তাঁর প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার কোনো বর্ণনা নেই৷