স্বাধীনতা পুরস্কার-২০১৭-তে ভূষিত হয়েছেন ১৫ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠান হিসেবে বাংলাদেশ বিমানবাহিনী। আজ বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁদের হাতে পদক তুলে দেন। মুক্তিযুদ্ধ, সাহিত্য, সংস্কৃতি, উন্নয়নসহ জাতীয় জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের জন্য এই পদক প্রদান করা হয়। পুরস্কার হিসেবে প্রত্যেককে তিন লাখ টাকার চেক, ১৮ ক্যারেট সোনার একটি পদক ও সনদপত্র প্রদান করা হয়। খবর বাসসের।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ এ বছর স্বাধীনতা পদকে ভূষিত হয়েছেন গ্রুপ ক্যাপ্টেন (অব.) শামসুল আলম বীরউত্তম, স্বাধীন বাংলা বেতারের কর্মকর্তা আশরাফুল আলম, শহীদ মো. নাজমুল হক, প্রয়াত মন্ত্রী সৈয়দ মহসিন আলী (মরণোত্তর), শহীদ এন এম নাজমুল আহসান (মরণোত্তর), শহীদ ফয়জুর রহমান আহমেদ (মরণোত্তর), চিকিৎসায় অধ্যাপক ডা. এ এইচ এম তৌহিদুল আনোয়ার চৌধুরী, সাহিত্যে রাবেয়া খাতুন ও গোলাম সামদানী কোরায়শী (মরণোত্তর), সংস্কৃতিতে অধ্যাপক ড. এনামুল হক ও নৃত্যকলায় ওস্তাদ বজলুর রহমান বাদল, সমাজকল্যাণে খলিল কাজী, গবেষণা ও প্রশিক্ষণে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান এবং প্রয়াত অধ্যাপক ড. ললিত মোহন নাথ এবং জনপ্রশাসনে অধ্যাপক মো. আসাদুজ্জামান।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. শফিউল আলম স্বাধীনতা পদক বিতরণ অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন এবং স্বাধীনতা পদক বিজয়ীদের সাইটেশন পাঠ করেন। স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের পক্ষে অধ্যাপক ড. এনামুল হক নিজস্ব অনুভূতি ব্যক্ত করে বক্তব্য দেন।
বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল আবু এসরার বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর পক্ষে প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে স্বাধীনতা পদক গ্রহণ করেন। মরণোত্তর পদকের ক্ষেত্রে শহীদ মো. নাজমুল হকের পক্ষে ছেলে ইঞ্জিনিয়ার শহীদুল ইসলাম হক, সৈয়দ মহসিন আলীর পক্ষে স্ত্রী সৈয়দা সায়রা মহসিন এমপি, শহীদ এন এম নাজমুল আহসানের পক্ষে ছোট ভাই এম এন সদরুল আহসান, শহীদ ফয়জুর রহমান আহমেদের পক্ষে মেয়ে সুফিয়া খাতুন, মরহুম গোলাম সামদানী কোরায়শীর পক্ষে ছেলে গোলাম ইয়াজদানী কোরায়শী এবং প্রয়াত অধ্যাপক ড. ললিত মোহন নাথের পক্ষে স্ত্রী আরতি নাথ পদক গ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার, মন্ত্রিপরিষদ সদস্যবৃন্দ, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টাবৃন্দ, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত, চিফ হুইপ ও হুইপবৃন্দ, সুপ্রিম কোর্টের বিচারক, সংসদ সদস্যগণ, সরকারের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাগণ, তিন বাহিনী প্রধানগণ, ডিপ্লোমেটিক কোরের ডিন, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও কূটনীতিকবৃন্দ, উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ এবং আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।