বিশেষ প্রতিবেদক
দক্ষিণের মানুষের স্বপ্নের পদ্মা সেতুর কাজ পুরোদমে এগিয়ে চলছে। সেতুর ৩৮ ও ৩৯ নম্বর পিলারের ওপর দ্বিতীয় স্প্যানটি (সুপার স্ট্রাকচার) বসাতে ভাসমান ক্রেনে করে জাজিরায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে নতুন সপ্তম-বি স্প্যানটি।
গতকাল শনিবার বিকেলে মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলার কুমারভোগ ইয়ার্ড থেকে মাওয়ায় আনা হয় এই স্প্যানটি। তিন হাজার ৬০০ মে. টন ধারণ ক্ষমতার ‘তিয়ান ই’ ক্রেনে করে ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্য ও তিন হাজার ১৪০ টন ওজনের সপ্তম-বি স্প্যানটি জাজিরার উদ্দেশে রওনা হয়। শুক্রবার সকালে সেটি পৌছার কথা থাকলেও ক্রেনের ত্রুটির কারণে তা স্থগিত করা হয়েছিল।
মূল সেতু নির্মাণ প্রকল্পের সহকারী প্রকৌশলী হুমায়ুন কবীর সাংবাদিকদের বলেন, ধূসর রঙের সপ্তম-বি স্প্যানটি শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌপথ ও পদ্মাসেতুর নিজস্ব খাল দিয়ে নেয়া হচ্ছে। শনিবার বিকেল চারটার দিকে ক্রেনটি স্প্যান নিয়ে রওনা দেয়। এটি বহন করে নিতে দুদিন সময় লাগবে। ৩০ ও ৪০ নম্বর পিলারের কাছে রাখা হবে এটি।
বাংলাদেশ আভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) শিমুলিয়া ঘাটের এক কর্মকর্তা জানান, ২০ জানুয়ারি থেকে ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত তাৎক্ষণিক যে কোন সময়ে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখার জন্য পদ্মাসেতু প্রকল্পের প্রকৌশলীরা আমাদের অনুরোধ করেছেন। স্প্যান বহনকারী ক্রেনটি ধীরগতিতে শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌপথ ধরে সেতুস্থলে যাবে। এসময় কোনও রকম নৌযান চলাচল করবে না।
প্রসঙ্গত, ৩০ সেপ্টেম্বর পদ্মা সেতুর প্রথম স্প্যানটি বসানোর পর প্রত্যেক মাসেই একটি করে স্প্যান স্থাপন করা যাবে-এমন তথ্য দিয়েছিলেন পদ্মাসেতু নির্মাণ কর্তৃপক্ষ। তবে নানা জটিলতায় সেটা বাধাগ্রস্ত হয়। প্রায় ছয় দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ স্বপ্নের পদ্মা সেতুতে ৪২ পিলারের ওপর বসানো হবে মোট ৪১টি স্প্যান।বহুমুখী এই সেতুর আদল হবে দোতলা আকৃতির। ৪২ টি পিলারের ওপর পাথর ও ইস্পাত দিয়ে নির্মিত হবে এই সেতুর মূল কাঠামো ।