আয়না২৪ ডেস্ক
সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে স্থাপিত ভাস্কর্য সরানো হচ্ছে। বৃহস্পতিবার রাতে ভাস্কর্য সরানোর কাজ শুরু হয়। কয়েকজন শ্রমিক সরানোর কাজ করছেন। খবর প্রথম আলোর।
সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ ও এর আশপাশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা রয়েছেন। তবে কাদের তত্ত্বাবধানে এ কাজ চলছে তা জানা যায়নি।
ঘটনাস্থলে রয়েছেন শিল্পী মৃণাল হক। তিনি এ ভাস্কর্যটি নির্মাণ করেছেন।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে শিল্পী মৃণাল হক প্রথম আলোকে বলেন, বৃহস্পতিবার বিকেলে তাকে জানানো হয় যে, ভাস্কর্য সরানো হবে। ভাস্কর্যটি সরিয়ে সুপ্রিম কোর্টের পেছনের দিকে এনেক্স ভবনে নেওয়া হবে। সরানোর সময় ভাস্কর্যের যেন কোনো ক্ষতি না হয় এ জন্য তদারকি করতেই ঘটনাস্থলে আছেন তিনি।
সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে স্থাপিত ভাস্কর্যটি অপসারণের দাবি জানিয়ে আসছিল হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। হেফাজতের এই দাবির নিন্দা জানিয়েছেন বিশিষ্ট নাগরিকেরা ও একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি।
এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে হেফাজতের আমির শাহ আহমদ শফী এক বিবৃতিতে বলেন, সর্বোচ্চ বিচারালয়ের সামনে গ্রিক দেবীর মূর্তি স্থাপন বাংলাদেশের গণমানুষের ধর্মীয় বিশ্বাস, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও আদর্শিক চেতনার একেবারেই বিপরীত। অবিলম্বে এটি অপসারণের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, অন্যথায় ইমান, আকিদা ও ঐতিহ্য রক্ষায় লাখ লাখ মানুষ রাস্তায় নেমে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবে।
এর আগে গত ১১ এপ্রিল রাতে গণভবনে কওমি মাদ্রাসার বিভিন্ন পর্যায়ের প্রতিনিধিদের এক সাক্ষাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, তিনি উচ্চ আদালত প্রাঙ্গণের সামনে স্থাপিত গ্রিক দেবীর ভাস্কর্য সরানোর পক্ষে। তিনি বলেন, ‘আমি নিজেও ব্যক্তিগতভাবে মনে করি এটা এখানে থাকা উচিত নয়।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের হাইকোর্টের সামনে গ্রিক থেমেসিসের এক মূর্তি লাগানো হয়েছে। সত্য কথা বলতে কি, আমি নিজেও এটা পছন্দ করিনি। কারণ, গ্রিক থেমেসিসের মূর্তি আমাদের এখানে কেন আসবে। এটা তো আমাদের দেশে আসার কথা না। আর গ্রিকদের পোশাক ছিল একরকম, সেখানে মূর্তি বানিয়ে তাকে আবার শাড়িও পরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এটাও একটা হাস্যকর ব্যাপার করা হয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি নিজেও ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, এটা এখানে থাকা উচিত নয়। আমি আপনাদের বলব, আপনারা ধৈর্য ধরেন। এটা নিয়ে কোনো হইচই নয়। একটা কিছু যখন করে ফেলেছে, সেটাকে আমাদের সরাতে হবে। সেটার জন্য আপনারা একটুকু ভরসা অন্তত রাখবেন যে এ বিষয়ে যা যা করার আমি তা করব।’
অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্ট কর্তৃপক্ষ ভাস্কর্য সরাচ্ছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও সম্পাদকদের আলোচনার জন্য ডেকেছিলেন। এ বিষয়ে প্রধান বিচারপতি মতামত জানতে চান। যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ভাস্কর্যটি অ্যানেক্স ভবন সংলগ্ন সুপ্রিম কোর্ট জাদুঘরের পাশে বসানোর পক্ষে আলোচনায় মত দেওয়া হয়। তবে বৃহস্পতিবার রাতেই যে ভাস্কর্য সরানো হবে তা তিনি জানতেন না।’
আলোচনার একটি সূত্র প্রথম আলোকে জানায়, সমিতির সাবেক সভাপতি ড. কামাল হোসেন, খন্দকার মাহবুব হোসেন, এ জে মোহাম্মদ আলী, বর্তমান সভাপতি জয়নুল আবেদীন, সাবেক সম্পাদকদের মধ্য এ এম আমিন উদ্দীন, স ম রেজাউল করিম, মাহবুব আলী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত রয়েছেন শিল্পী মৃণাল হক। তিনি এ ভাস্কর্যটি নির্মাণ করেছেন। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে শিল্পী মৃণাল হক প্রথম আলোকে বলেন, ‘বৃহস্পতিবার বিকেলে তাকে জানানো হয় যে, ভাস্কর্য সরানো হবে। ভাস্কর্যটি সরিয়ে সুপ্রিম কোর্টের পেছনের দিকে এনেক্স ভবনে নেওয়া হবে। সরানোর সময় ভাস্কর্যের যেন কোনো ক্ষতি না হয় এ জন্য তদারকি করতেই ঘটনাস্থলে আছেন তিনি।’
সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে স্থাপিত ভাস্কর্যটি অপসারণের দাবি জানিয়ে আসছিল হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। হেফাজতের এই দাবির নিন্দা জানিয়েছেন বিশিষ্ট নাগরিকেরা ও একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি।
এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে হেফাজতের আমির শাহ আহমদ শফী এক বিবৃতিতে বলেন, ‘সর্বোচ্চ বিচারালয়ের সামনে গ্রিক দেবীর মূর্তি স্থাপন বাংলাদেশের গণমানুষের ধর্মীয় বিশ্বাস, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও আদর্শিক চেতনার একেবারেই বিপরীত। অবিলম্বে এটি অপসারণের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, অন্যথায় ইমান, আকিদা ও ঐতিহ্য রক্ষায় লাখ লাখ মানুষ রাস্তায় নেমে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবে।’
এর আগে গত ১১ এপ্রিল রাতে গণভবনে কওমি মাদ্রাসার বিভিন্ন পর্যায়ের প্রতিনিধিদের এক সাক্ষাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘তিনি উচ্চ আদালত প্রাঙ্গণের সামনে স্থাপিত গ্রিক দেবীর ভাস্কর্য সরানোর পক্ষে। তিনি বলেন, ‘আমি নিজেও ব্যক্তিগতভাবে মনে করি এটা এখানে থাকা উচিত নয়।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের হাইকোর্টের সামনে গ্রিক থেমেসিসের এক মূর্তি লাগানো হয়েছে। সত্য কথা বলতে কি, আমি নিজেও এটা পছন্দ করিনি। কারণ, গ্রিক থেমেসিসের মূর্তি আমাদের এখানে কেন আসবে। এটা তো আমাদের দেশে আসার কথা না। আর গ্রিকদের পোশাক ছিল একরকম, সেখানে মূর্তি বানিয়ে তাকে আবার শাড়িও পরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এটাও একটা হাস্যকর ব্যাপার করা হয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি নিজেও ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, এটা এখানে থাকা উচিত নয়। আমি আপনাদের বলব, আপনারা ধৈর্য ধরেন। এটা নিয়ে কোনো হইচই নয়। একটা কিছু যখন করে ফেলেছে, সেটাকে আমাদের সরাতে হবে। সেটার জন্য আপনারা একটুকু ভরসা অন্তত রাখবেন যে এ বিষয়ে যা যা করার আমি তা করব।’
গত বছরের শেষ দিকে এ ভাস্কর্যটি সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে বসানো হয়।