আয়না২৪ ডেস্ক
‘যাবজ্জীবন কারাদণ্ড অর্থ আমৃত্যু কারাবাস’- এমন পর্যবেক্ষণ দিয়ে একটি হত্যা মামলার আসামি আতাউর মৃধা ও আনোয়ার হোসেনের মৃত্যুদণ্ডের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। গতকাল সোমবার আপিল বিভাগের এ রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশিত হয়েছে।
প্রধান বিচারপতি ্এস কে সিনহার নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বিভাগ এ রায় দিয়েছেন। ৯২ পৃষ্ঠার রায়টি প্রধান বিচারপতি নিজেই লিখেছেন।
রায়ের সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ও বিচারপতি মির্জা হুসেইন হায়দার।
এর আগে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগ সংক্ষিপ্ত আকারে আসামির আপিল খারিজ করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের এ রায় দিয়েছিলেন। ওই দিনই আদালত বলেছিলেন, যাবজ্জীবন মানে ৩০ বছর কারাভোগ নয়, আমৃত্যু কারাবাস।
এখন যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তদের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে এ রায়ের কপি স্বরাষ্ট্র সচিব ও আইজি প্রিজন্সকে (কারা মহাপরিদর্শককে) দেয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এই রায়ে।
রায়ের ব্যাপারে জানতে চাইলে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, ‘যে কোনো আইনের ব্যাখ্যা সবার ক্ষেত্রে একই হবে। এখন থেকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড মানে আমৃত্যু কারাবাস- এটা যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত সবার ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হবে।’
এ ব্যাপারে সংক্ষিপ্ত রায়ের দিন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘লাইফ ইমপ্রিজনমেন্ট (যাবজ্জীবন কারাদণ্ড) অর্থ আসলেই আমৃত্যু কারাবাস। এর আগে যাবজ্জীবন অর্থ দ্বীপান্তর করা হত। এটার বদলে যখন দ্বীপান্তর উঠে গেল, তখন বলা হলো- ইমপ্রিজনমেন্ট ফর লাইফ। এর অর্থ আমৃত্যু কারাভোগ।’
‘কিন্তু সময় বিবেচনা করে বলা হলো- ৩০ বছর খাটার পর তার আচার-আচরণ বিবেচনায় ছাড়া পাওয়ার যোগ্য হলে ছেড়ে দেয়া হয়। আর জেলের বছর মানে ৯ মাস। তাই ২২ বছরে অনেকে বের হয়ে যায়’ বলেন তিনি।