আয়না২৪ ডেস্ক
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জঙ্গিনেতা মুফতি আবদুল হান্নান ও তাঁর দুই সহযোগী শরীফ শাহেদুল ওরফে বিপুল এবং দেলোয়ার হোসেন রিপনের ফাঁসি আজ বুধবার রাতে কার্যকর করা হয়েছে।
গাজীপুরের কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে বুধবার রাত ১০টার দিকে মুফতি আবদুল হান্নান ও শরীফ শাহেদুল ওরফে বিপুলের ফাঁসি কার্যকর করা হয়। জঙ্গি দেলোয়ার হোসেন রিপনের ফাঁসিও সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে রাত ১০টা ১ মিনিটে কার্যকর করা হয়।
কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মিজানুর রহমান কারাফটকে সাংবাদিকদের জানান, রাত ১০টায় মুফতি আবদুল হান্নান ও শরীফ শাহেদুল ওরফে বিপুলের ফাসি কার্যকর করা হয়।
আজ বুধবার সন্ধ্যায় প্রধান ফটক দিয়ে দুইটি অ্যাম্বুলেন্স প্রবেশ করে। ডিআইজি প্রিজন তৌহিদুল ইসলাম বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে কারাগারে ঢুকেছিলেন। তিনি পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন। গাজীপুরের এসপি হারুনুর রশিদ কারাগারে উপস্থিত হন আজ সন্ধ্যা পৌনে সাতটার দিকে। রাত আটটার দিকে আইজি প্রিজন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন কারাগারে প্রবেশ করেন।
গাজীপুর জেলা প্রশাসক এসএম আলম এবং সিভিল সার্জন সৈয়দ মনজুরুল হক রাত সাড়ে ৯ টায় কারাগারে প্রবেশ করেন। এর আগে দুইজন নির্বাহী মেজিস্ট্রেট কারাগারে প্রবেশ করেন।
কারা মসজিদের পেশ ইমাম হেলাল উদ্দিন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের তওবা পড়ান বলে জানা গেছে। এদিকে জেলখানা রোডে যানবাহন চলাচল ও আশেপাশের দোকান বন্ধ করে দেওয়া হয়। সাধারণ মানুষের চলাচলেও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। আইন শৃঙ্খলা বাহিনী পুরো এলাকা ঘিরে রাখেভ
এর আগে বুধবার দুপুর দুইটার দিকে দুই ভাইয়ের সঙ্গে মুফতি হান্নানের সাক্ষাৎ করানো হয়। এরা হলেন- একই মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগারে থাকা বন্দি মো. মহিবুল ও গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারের বন্দি মো. আনিস।
সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে জ্যেষ্ঠ জেল সুপার ছগির মিয়া সাংবাদিকদের বলেন, দেলোয়ার হোসেন রিপনের ফাঁসি বুধবার রাত ১০টা ১ মিনিটে কার্যকর করা হয়েছে।