আয়না ২৪ সংবাদ
প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা প্রণয়ন, আবেদনকৃত ও তালিকাভুক্ত মুক্তিযোদ্ধাদের নিরীক্ষণ এবং তালিকাভুক্ত মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিষ্পত্তিতে উপজেলা, জেলা/মহানগর যাচাই-বাছাই কমিটি করেছে সরকার।
স্বাধীনতার ৪৫ বছর পর মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় গত ১২ জানুয়ারি এসব কমিটি গঠনের আদেশ জারি করে মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই-বাছাইয়ে এর আগে গঠিত সব কমিটি বাতিল করেছে।
সংশ্লিষ্ট উপজেলার সংসদ সদস্য মুক্তিযোদ্ধা হলে তিনি নিজে এই কমিটির সভাপতি হবেন। যেখানে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সদস্য নেই সেসব এলাকার কমিটির সভাপতি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় মনোনীত করবে।
কোনো উপজেলার সংসদ সদস্য মুক্তিযোদ্ধা না হলে তার মনোনীত একজন মুক্তিযোদ্ধাকে কমিটির সদস্য করা হবে। তবে সংসদ সদস্য মনোনীত প্রতিনিধিকে কমিটির সভাপতি করা হলে ওই সংসদ সদস্য কমিটিতে সদস্য হিসেবে থাকবেন।
সংসদ সদস্য এবং তার মনোনীত প্রতিনিধির বাইরে উপজেলা পর্যায়ের কমিটিতে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, বিভাগীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের সদস্য, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিল এবং জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বা তার মনোনীত একজন মুক্তিযোদ্ধা প্রতিনিধিকে সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে।
উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা মনোনীত একজন মুক্তিযোদ্ধা প্রতিনিধি কমিটি সদস্য হিসেবে থাকবেন।
এই কমিটির সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালন করবেন সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)।
জেলা/মহানগর কমিটির সভাপতি নির্বাচনেও একই বিধান রাখা হয়েছে।
এই কমিটিতে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, বিভাগীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের সদস্য, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিল, জেলা/মহানগর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বা তার মনোনীত জেলা/মহানগর এলাকার একজন মুক্তিযোদ্ধা প্রতিনিধিকে সদস্য করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট জেলা/মহানগর ইউনিট কমান্ডের ডেপুটি মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার (জ্যেষ্ঠতম) কমিটিতে সদস্য এবং সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালন করবেন।
আদেশে বলা হয়েছে, যাচাই-বাছাইয়ের আওতাধীন কোনো মুক্তিযোদ্ধা/প্রতিনিধি এসব কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত হতে পারবেন না। যাচাই-বাছাই কমিটির সভাপতি (সংসদ সদস্য ছাড়া) মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক মনোনীত হবেন।
“এই কমিটিকে ইতোপূর্বে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল কর্তৃক প্রেরিত মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাইয়ের জন্য তথ্যাবলী মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই নির্দেশিকা ২০১৬ অনুরসণ করে যাচাই-বাছাই করতে হবে।”
কোনো কারণে কোনো কমিটির সভাপতি অনুপস্থিত থাকলে সমঝোতার মাধ্যমে কমিটির সদস্যদের মধ্য থেকে একজন সদস্য সভাপতির দায়িত্ব পালন করবেন।
কমিটির সদস্য সংখ্যার অধিকাংশের উপস্থিতিতে কমিটির কোরাম হয়েছে বিবেচনা করে কমিটি কার্যসম্পাদন করার নির্দেশনা দিয়ে আদেশে বলা হয়েছে, কোনো কারণ দর্শানো ছাড়াই কর্তৃপক্ষ যে কোনো কমিটির আংশিক বাতিল বা সংশোধন করার ক্ষমতা সংরক্ষণ করে।
যাচাই-বাছাই কমিটিকে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল ঘোষিত তারিখ ও স্থানে (সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা/জেলা প্রশাসকের কার্যালয়) যাচাই-বাছাই করতে হবে।
কমিটিগুলো ‘মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই নির্দেশিকা- ২০১৬’ অনুযায়ী যাচাই-বাছাই সম্পন্ন করে সঙ্গে সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলে প্রতিবেদন পাঠাবে।
সংশ্লিষ্ট উপজেলা নোটিস বোর্ডে একটি কপি টাঙিয়ে রাখতেও বলা হয়েছে।