আয়না২৪ প্রতিবেদন
জটিল রোগে আক্রান্ত ছোট্ট মুক্তামণির প্রথমবারের মতো বায়োপসি রিপোর্টপ্রাপ্তি সাপেক্ষে আজ সোমবার বসবে মেডিকেল বোর্ড। তার পরবর্তী চিকিৎসা কী হবে, সে সিদ্ধান্ত নেবেন চিকিৎসকেরা । বায়োপসির ফলাফলের ওপর ভিত্তি করেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
অস্ত্রোপচারের পর মুক্তামণিকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়। গতকাল সোমবার আইসিইউ থেকে মুক্তামণিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের কেবিনে আনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মুক্তামণির বাবা ইব্রাহিম হোসেন।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়েছিল, মুক্তামণির ডান হাত অক্ষত রেখেই যাতে অস্ত্রোপচার করা সম্ভব হয়, চিকিৎসকেরা প্রথমে সে চেষ্টা করবেন। তবে তা সম্ভব না হলে হাত কেটে হলেও অস্ত্রোপচার করতে হবে। কেননা, অস্ত্রোপচার না করলে তার মৃত্যুঝুঁকি আছে। মুক্তামণির বাবা-মা এই অস্ত্রোপচারে সম্মতি দিয়েছেন। তাঁদের কাছে মেয়ের হাতের চেয়ে জীবন আগে।
১২ বছরের মুক্তামণি জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে এখন শয্যাশায়ী। তার ডান হাতে তার শরীরের চেয়ে বেশি ওজনের মাংসপিণ্ড রয়েছে। যা তার স্বাভাবিক জীবনযাপন ব্যাহত করেছে। এখন ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের কেবিনে সময় কাটছে তার। মাত্র দেড় বছর বয়সে মুক্তামণির এই রোগ দেখা দেয়। পরবর্তীতে বিভিন্ন চিকিৎসা চললেও সুস্থতার বদলে এ রোগ বাড়তে থাকে। সর্বশেষ একটি গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে মুক্তামণিকে ঢাকায় আনা হয়। তার চিকিৎসার সমস্ত দায়িত্ব নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তার উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরের হাসপাতালের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা অস্বীকৃতি জানায়। এরপর গত বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলন করে ঢাকা মেডিকেলই মুক্তামণির চিকিৎসা করবে বলে জানান চিকিৎসকরা। তার জন্য হাতপাতালের পক্ষ থেকে নির্দিষ্ট দল গঠন করা হয়েছে। দলের তত্ত্বাবধানে মুক্তামণির চিকিৎসা চলছে। দলের অন্য ডাক্তারদের মধ্যে আছেন বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের বিভাগীয় প্রধান ডা. আবুল কালাম, বার্ন ও প্লাস্টিক ইউনিটের অধ্যাপক ডা. সাজ্জাদ খন্দকার, অর্থপেডিক প্রধান অধ্যাপক ডা. শামসুজ্জামান প্রমুখ।