আয়না২৪ প্রতিবেদন
বরিশাল-ভোলা পথে স্পিডবোট দুর্ঘটনায় নিহত ঢাকা মেডিকেল কলেজের সহযোগী অধ্যাপক গোলাম সরোয়ারের স্ত্রী নাসপতি বেগম এবং মেয়ে সিদরাতুল মুনতাহা সায়েরীর জানাযা শেষে দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
রোববার রাত ১০ টায় বরগুনা সদর উপজেলার গৌরিচন্না ইউনিয়নের চর খাজুরতলা গ্রামের নিজ বাড়িতে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরে তাঁদের দাফন হয়।সায়েরী ও তার মা নাসপতি বেগমের মরদেহ খাজুরতলা গ্রামে পৌছালে সেখানে তাদের স্বজনদের আহাজারিতে ভারি হয়ে ওঠে এলাকার পরিবেশ। স্বজনদের কান্নায় চোখে জল ধরে রাখতে পারেননি উপস্থিত কেউ-ই।
মা-মেয়ের মরহেদ বরগুনায় পৌছার পর বরগুনা- ১ আসনের সাংসদ ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু এবং জেলা পরিষদ প্রশাসক জাহাঙ্গির কবীর, সাবেক সাংসদ জাফরুল হাসান ফরহাদ, ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালের অধ্যাপক সৈয়দ শহিদুল ইসলাম, সহযোগী অধ্যাপক নিজাম উদ্দিন, শহীদ সোহরওয়াদী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক এরশাদুল ইসলাম, বরগুনার স্বাস্থ্য বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং তাঁদের স্বজন ও গ্রামের লোকজন কফিনে শ্রদ্ধা জানান। পরে তাঁরা দ্বিতীয় দফায় জানাজায় অংশ নেন।
এর আগে রোববার জোহর নামাজ বাদ বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মসজিদের সামনে তাদের প্রথম জানাজা হয়। এরপর বিকেলে দুটি অ্যাম্বুলেন্সযোগে মরদেহ নিয়ে আসা হয় বরগুনায়।
প্রসঙ্গত, মেডিকেল কলেজের অর্থোপেডিক্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক গোলাম সরোয়ার তার স্ত্রী নাসপতি বেগম (৪৫) মেয়ে সিদরাতুল মুনতাহা সায়েরীকে (১২) নিয়ে শুক্রবার সন্ধ্যার পরে একটি স্পীডবোটে করে ভোলা থেকে বরিশাল ফিরছিলেন। পথিমধ্যে রাত পৌনে আটটার দিকে বরিশালের কীর্তনখোলার নদীর সাহেবেরহাট চ্যানেলে তাদের বহন করা করা বিপরীত দিক দিয়ে আসা অপর একটি স্পীডবোটের সংঘর্ষ হয়। এতে তাদের স্পীডবোটটি ডুবে যায়। এসময় সকল যাত্রীরা নদী সাঁতরে তীরে উঠতে সক্ষম হলেও গোলাম সরোয়ারে স্ত্রী নাসপতি বেগম ঘটনাস্থলে নিহত হন এবং নিখোঁজ হয় মেয়ে সায়েরী।
সংঘর্ষের কিছুক্ষন পর স্থানীয়রা নদী থেকে নাসপতি বেগমের মৃতদেহ উদ্ধার করলেও নিখোঁজ থাকে তার মেয়ে সায়েরী। রোবার সকাল পৌন ১০ টার দিকে ঘটনাস্থলের কাছাকাছি সায়েরীর মৃতদেহ নদীতে ভাসতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে সিদরাতুল মুনতাহা সায়েরীর মৃতদেহ উদ্ধার করে। সিদরাতুল মুনতাহা সায়েরী ঢাকার মোহাম্মদপুর প্রিপেয়ারেটরী স্কুল থেকে এ বছর পঞ্চম শ্রেণির সমাপনী পরীক্ষা দিয়েছিলো।