আয়না২৪ প্রতিবেদন
আসন্ন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে অনেক নাটকীয়তা ও জল্আপনার পর ওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন বর্তমান মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সেলিনা হায়াৎ আইভী। গতকাল শুক্রবার গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের সভায় তাঁর মনোনয়নের বিষয়টি চূড়ান্ত করা হয়। আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য প্রবীন সাংসদ সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত বিষয়টি নিশ্চিৎ করেছেন।
মনোনয়ন পাওয়ার পর দেওয়া প্রতিক্রিয়ায় আইভী বলেন, ‘আমাকে মনোনয়ন দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রীকে আমার ও আমার পরিবারের পক্ষ থেকে অশেষ ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। পাশাপাশি স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের সব সদস্যের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। এই মনোনয়নের মাধ্যমে নারায়ণগঞ্জবাসীর আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটেছে। আমি নারায়ণগঞ্জবাসী ও দেশবাসীর কাছে দোয়া চাই। দলের সব স্তরের নেতা-কর্মীদের নিয়েই আমি নির্বাচন করব। এ জন্য সবার সহযোগিতা চাই।’
আগামী ২২ ডিসেম্বর নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন হবে। ২৪ নভেম্বর মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ। যাচাই-বাছাই ২৬ ও ২৭ নভেম্বর। ৪ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ তারিখ।
গত মঙ্গলবার জেলা সার্কিট হাউসে নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় মেয়র পদে দলীয় প্রার্থী হিসেবে নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুজিবুর রহমান, বন্দর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুর রশিদের নাম পাঠানো হয়। এই তিনজনের মধ্যে সেলিনা হায়াৎ আইভীর নাম ছিল না। এরপর বৃহস্পতিবার রাতে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে সেলিনা হায়াৎ আইভী দলটির সভাপতি শেখ হাসিনা বরাবর লিখিত আবেদন করেন। গতকাল তাঁর দলীয় মনোনয়ন চূড়ান্ত করে দলটি।
২০১১ সালে মেয়র নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন তিনি। ওই নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী শামীম ওসমানকে এক লাখ ভোটে পরাজিত করেন আইভী।