অায়না২৪ প্রতিবেদন
গাজীপুরে পোশাক কারখানায় বয়লার বিস্ফোরণ ঘটনায় আরও এক জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে মৃত সংখ্যা দাঁড়াল ১০ জনে। অর্ধশতাধিক আহত হয়েছে। হতাহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে ধারণা করছে উদ্ধার কর্মীরা।
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের কাশিমপুরের নয়াপাড়া এলাকায় সোমবার সন্ধ্যায় মাল্টি ফ্যাব্স লিমিটেড নামের একটি পোশাক কারখানায় বয়লার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে ওই কারখানায় বিকট শব্দে বয়লার বিস্ফোরণ ঘটে। এতে কারখানার চারতলা ভবনের দ্বিতীয় তলা পর্যন্ত একপাশের অংশ ধসে পড়ে। কী কারণে বিস্ফোরণ ঘটেছে তা জানা যায়নি।
এর আগে গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক মো. আখতারুজ্জামান বলেন, সন্ধ্যা ৭টার দিকে ওই কারখানায় বয়লার বিস্ফোরণ হওয়ার খবর পান তারা। জয়দেবপুর, কালিয়াকৈর ও টঙ্গী ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা রাত ৮টার দিকে উদ্ধারকাজ শুরু করেন। কারখানার লোকজন ও এলাকাবাসীর সহায়তায় আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় কোনাবাড়ি, কাশিমপুর, গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং সাভারসহ বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে পাঠানো হয়।
মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত যে ৭ জনের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয় তারা হল- মাগুরার শালিকা থানার গোবরা এলাকার আয়ূব আলী সর্দারের ছেলে আলামিন হোসেন (৩০), ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর থানার কুণ্ডা এলাকার মৃত সাগর আলী মীরের ছেলে মজিবুর রহমান, রাজবাড়ির গোয়ালন্দ থানার চরকাছন্দ বরাটবাজার এলাকার মনীন্দ্রনাথ শীলের ছেলে বিপ্লব চন্দ্র শীল, বগুড়ার সোনাতলা থানার হরিখালী এলাকার মো. সাহার আলীর ছেলে মাহবুবুর রহমান, চট্টগ্রামের মীরসরাই থানার দারোগারহাট এলাকার মৃত মকছুদ আহমদের ছেলে আবদুস সালাম, একই থানার কাউছড়া এলাকার লুৎফুল হকের ছেলে মনসুরুল হক এবং চাঁদপুর সদর থানার বাথুরপুর মদনা এলাকার বাচ্চুর ছেলে গিয়াস উদ্দিনের (৩০)।
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে গাজীপুরের জেলা প্রশাসক ড. দেওয়ান মোহাম্মদ হুমায়ুন কবীর, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. রাহেনুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাখাওয়াৎ হোসেন ও র্যাবের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। নিহত প্রতিটি পরিবারকে তাৎক্ষণিকভাবে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২০ হাজার টাকা করে সহায়তার প্রদান করা হবে।