• Home  / 
  • জাতীয়  / 

বিনা বিচারে ১৫ বছর কারাগারে থাকা চারজনের মধ্যে তিনজনের জামিনঃবিচারের সীমা বেধে দিলেন হাইকোর্ট

ডিসেম্বর ৫, ২০১৬
Spread the love

আয়না২৪ প্রতিবেদন

বিনা বিচারে ১৪ থেকে ১৭ বছর ধরে কারাবন্দি চার ব্যক্তির মধ্যে তিনজনকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে এ তিনজনের বিরুদ্ধে দায়ের করা হত্যা মামলা ৯০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে নিম্ন আদালতকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।জামিনপ্রাপ্তরা হলেন মকবুল হোসেন, সেন্টু কামাল ও বিল্লাল হোসেন।

জামিন না পাওয়া অন্য ব্যক্তি হলেন চান মিয়া। তিনি ১৭ বছর ধরে বন্দি। তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা ৬০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে নিম্ন আদালতকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বিনা বিচারে কারাগারে আটক চারজনের একজন রাজধানীর মতিঝিলের এজিবি কলোনির সেন্টু কামাল গ্রেপ্তার হন ২০০১ সালে। সর্বশেষ গত মাসেও তাকে হাজির করা হয়েছিল ঢাকার বিশেষ জজ আদালত ৩ এ। কিন্তু দীর্ঘ ১৬ বছরে ৫৯ কার্যদিবস আদালতে হাজির করা হলেও মামলা শেষ হয়নি। মামলা শেষ হয়নি কুমিল্লার বিল্লাল হোসেনেরও। তেজগাঁও থানায় দায়ের হওয়া একটি হত্যা মামলায় বিল্লাল হোসেন কাশিমপুর কারাগারে বন্দি রয়েছেন ২০০২ সাল থেকে। তার মামলাটিও বিচারাধীন আছে ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে।

চাঁন মিয়া বন্দি গত ১৮ বছর ধরে যার পরিচয় ২৮৩৪ (বন্দি নম্বর)। ঢাকার শ্যামপুর থানার একটি হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কাশিমপুর কারাগারে ১৯৯৯ সাল থেকে বিনা বিচারে বন্দি তিনি। এ দেড় যুগে চাঁন মিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া হত্যা মামলার কোনো অগ্রগতিই হয়নি। মামলাটি বর্তমান বিচারাধীন ঢাকার পরিবেশ আদালতে। একই ঘটনা মাদারীপুরের মকবুল হোসেনেরও। ৬৬৬ পরিচয়ধারী মকবুল রাজধানীর উত্তরা থানার একটি হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন ২০০০ সালে। এরপর থেকে দীর্ঘ ১৭ বছর মামলাটি আর আলোর মুখ দেখেনি। ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে মকবুলের পক্ষে আইনি লড়াই করারও কেউ ছিলেন না।

গতকাল ওই চারজন আদালতের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন। মূলত তাঁরা কত দিন ধরে বন্দি, ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে কোনো স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে কি না, আত্মীয়স্বজন আছে কি না ইত্যাদি প্রশ্ন করেন। আদালতের প্রশ্নের জবাবে চারজনই স্বীকারেক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়ার কথা অস্বীকার করেন। যদিও আদালতের নথিতে দুই-তিনটি মামলায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রয়েছে।