আয়না২৪ প্রতিবেদন
দীর্ঘ ১০৭ বছরের পুরনো বিদ্যুৎ আইনের পরিবর্তন আনছে সরকার। বৃটিশ আমলের তৈরি বিদ্যুৎ আইন, ১৯১০’-এর সংস্কার এনে সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘বিদ্যুৎ আইন, ২০১৭’ এর অনুমোদন দেওয়া হয়।
নতুন এই আইনে বিদ্যুৎ স্থাপনায় নাশকতার অপরাধে সর্বোচ্চ ১০ বছরের কারাদণ্ড এবং সর্বোচ্চ ১০ কোটি টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। তবে এই আইনে বিচারক ৭ বছরের নিচে কোনো দণ্ড দিতে পারবেনা বলে বিধান রেখে বিদ্যুৎ আইন-২০১৭ এর খসড়ার অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
সোমবার সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এই আইনের খসড়া অনুমোদন দেয়া হয়।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম এক প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে সাংবাদিকদের এ অনুমোদনের কথা জানান।
তিনি বলেন, প্রস্তাবিত আইনে নতুন বিধান হিসেবে বিদ্যুতের লাইসেন্সের সাথে জড়িত সরকারি সংস্থাগুলোর কর্মকর্তাদেরও আইন লঙ্ঘনের জন্য শাস্তির আওতায় আনা হয়েছে। এখন কোনো কর্মকর্তা সরবরাহকৃত এলাকার বাইরে বিদ্যুৎ সরবরাহসহ আইনের বিধান লঙ্ঘন করলে এক বছরের কারাদণ্ড বা এক লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড দেয়া হবে। এ রকমভাবে আরও কয়েকটি অপরাধের জন্য শাস্তি বাড়ানো হয়েছে।
এছাড়া বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকা শহরের জলাবদ্ধতা দূর করার জন্য বক্স কালভার্টগুলো খুলে দিয়ে এর ওপর দিয়ে উড়ালসেতু বানানোর প্রস্তাব দিয়েছেন। এজন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে কাজ শুরুর নির্দেশ দেন তিনি।
একইসাথে বুড়িগঙ্গা ও ব্রহ্মপুত্র নদী হেভি ড্রেজিং মেশিন দিয়ে খনন করার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি ড্রেজিং করা বালু বিক্রির ব্যবস্থা করার জন্যও তিনি নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন।
এ ছাড়াও আজকের সভায় (প্রতিরক্ষাবাহিনীগুলোর প্রধানদের নিয়োগ-বেতন-ভাতা এবং অন্যান্য সুবিধা) আইন ২০১৭ এর খসড়ার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আগেই এর নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আজ চূড়ান্ত খসড়ার অনুমোদন দেওয়া হবে।