আয়না২৪ প্রতিবেদন
বাংলাদেশের প্রথম নিজস্ব স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু-১-এর নির্মাণ কাজ অর্ধেক শেষ। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অবশিষ্ট কাজ শেষ হলে মহাকাশে উড়বে ২০১৭ সালের ১৬ ডিসেম্বর। বৃহস্পতিবার টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসির চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদ সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানান।
বিটিআরসি কার্যালয়ে টেলিকম খাতে কর্মরত সাংবাদিকরা চেয়ারম্যানের সঙ্গে দেখা করতে গেলে তিনি বলেন, ‘স্যাটেলাইটের নির্মাণকাজ নির্ধারিত সময়ের আগেও শেষ হতে পারে।’ এ সময় বিটিআরসির সচিব মো. সরওয়ার আলম উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট ২০১৭ সালের ১৬ ডিসেম্বরে উৎক্ষেপণের পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। এ প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে ২ হাজার ৯৬৭ কোটি টাকা। ফরাসি প্রতিষ্ঠান থ্যালাস অ্যালিনা স্পেস বঙ্গবন্ধু-১ নির্মাণ করছে।
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বিটিআরসি চেয়ারম্যান আরও জানান, আগামী বছরই মোবাইল নম্বর পোর্টেবিলিটি (এমএনপি) সেবা চালু করা হবে। কিছু নিরাপত্তাজনিত ইস্যু রয়েছে। সেসব সমাধান হয়ে গেলেই চালু হবে এমএনপি সেবা। তবে কিভাবে হবে, কী প্রক্রিয়ায় হবে, সেসব এখনও চূড়ান্ত হয়নি। নিলামের মাধ্যমে হবে নাকি নিলাম ছাড়াই প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করা হবে, সেসব বিষয়ে সিদ্ধান্তের বিষয় রয়েছে বলে জানানো হয়। তবে এমএনপি ৭০০ মেগাহার্টজে চালু হতে পারে।
ফোর-জি নেটওয়ার্ক চালুর বিষয়ে ড. শাহজাহান মাহমুদ বলেন, ‘এ বিষয়ে কাজ চলছে। নতুন বছরে সুখবর আসতে পারে।’ এছাড়া তিনি টাওয়ার শেয়ারিং নীতিমালা নিয়েও কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘নতুন বছরে এটা করা হবে। নীতিমালা তৈরির পরই বিষয়টি নিয়ে নিলাম হতে পারে।’
যোগাযোগভিত্তিক অ্যাপস বা কমিউনিকেশন অ্যাপস তথা ওটিটি (ওভার দ্য টপ) সেবা বিষয়ে বিটিআরসি চেয়ারম্যান জানান, সারা দুনিয়ায় ওটিটি সেবার ফলে মোবাইলফোন অপারেটদের আয় কমছে। আমাদের দেশেও কমেছে। বাংলাদেশের অপারেটররাও চান না, এই সেবা বন্ধ করতে। কিন্তু তারা চান কোনও একটি নীতিমালার আওতায় এই সেবাকে আনতে।