আয়না ২৪ প্রতিনিধি
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফর আবার পেছাতে পারে। প্রথমে শোনা যাচ্ছিল চলতি ডিসেম্বরের ১৮ তারিখ তিনদিনের সফরে যাচ্ছেন তিনি। সেটি স্থগিত হওয়ার পর গত সপ্তাহে শোনা গিয়েছিল, ফেব্রুয়ারিতে ভারত সফরে যাবেন শেখ হাসিনা। এ নিয়ে ঢাকা ও দিল্লিতে চলছিল প্রস্তুতি পর্ব। কিন্তু বেশ কিছু জটিলতায় ফেব্রুয়ারিতেও প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরের সম্ভাবনা ক্ষীণ।
কূটনৈতিক সূত্রের খবর, তিস্তার পানিবণ্টনে ভারতের সঙ্গে একটি সমঝোতায় আসতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারও এতে সম্মত। বাংলাদেশের তরফ থেকে এ সংক্রান্ত চুক্তির সব আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়েছে। শেখ হাসিনার দিল্লি সফরকালে চুক্তি সম্পাদিত হবে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখনো রাজি হননি। মূলত তার আপত্তির কারণেই তিস্তা চুক্তি আটকে আছে। উপরন্তু মোদি বনাম মমতার মধ্যে যুদ্ধ চলছে কেন্দ্রীয় সরকারের ৫শ ও এক হাজার টাকার নোট বাতিল ইস্যু নিয়ে। সহসাই এ সংকট মিটিয়ে দুজনের সমঝোতা হওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ। এ কারণেই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সফরসূচি পিছিয়ে যাচ্ছে।
বর্তমান পরিস্থিতিতে তিস্তা চুক্তি হওয়ার আশা খুব বেশি নেই। তারপরও এই সফরে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি চাইছেন শেখ হাসিনা। চুক্তির একটি কাঠামোর বিষয়ে আলোচনা শুরু ও এ বিষয়ে বলার মতো অগ্রগতি চায় ঢাকা। এই নিশ্চয়তা না পাওয়া পর্যন্ত ভারত সফরে যেতে ইচ্ছুক নন শেখ হাসিনা। প্রসঙ্গত, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেদ্র মোদির আমন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই রাষ্ট্রীয় সফর।
এক সময়ের স্রোতস্বিনী তিস্তা এখন কোটি মানুষের দুঃখ। উজানে তিস্তার ওপর বাঁধ দিয়ে বছরের পর বছর বিভিন্ন ক্যানেলের মাধ্যমে স্রোত ঘুরিয়ে গতিপ্রবাহ রোধ করা হয়েছে। এছাড়া বর্ষার ভাঙনে নিঃস্ব লাখো পরিবার। শুষ্ক মৌসুমে থাকে না প্রয়োজনীয় সেচের পানি। তিস্তার বুকে গজলডোবা নামক স্থানে যে বাঁধ করা হয়েছে তার মাধ্যমে সব পানি ধরে রাখা সম্ভব। এর বাইরে রয়েছে উপনদীগুলোয় একাধিক বাঁধ। তিস্তার পানির অভাবে দেশের উত্তরাঞ্চল দিনদিন মরুভূমি হয়ে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও বিষয়টির গুরুত্ব অনুধাবন করছেন। এর জন্য তিস্তা চুক্তির ব্যাপারে তার সরকার অত্যধিক জোর দিচ্ছে।
কূটনৈতিক সূত্রের খবর, তিস্তা চুক্তির ব্যাপারে শেখ হাসিনার রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতার বিষয়টি জানানো হয়েছে নয়াদিল্লিকে। ভারতের জলসম্পদ প্রতিমন্ত্রী সঞ্জীব কুমার বালিয়ান লোকসভায় জানান, তিস্তা চুক্তির বিষয়ে ভারত সরকার উদ্যোগী। সব পক্ষের স্বার্থ রক্ষা করে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য সমাধান সূত্র খুঁজে বের করার চেষ্টা হচ্ছে।
বাংলাদেশ-ত্রিপুরার মধ্যে বয়ে যাওয়া মুহুরি নদী নিয়ে সমস্যা আছে। ত্রিপুরার দিকে চর জাগায় বাঁক নিয়ে ঢুকছে বাংলাদেশে। চরের মালিকানা দাবি করছে বাংলাদেশ। কিন্তু ভারত বলছে, চর নয়, শুধু জলে বাংলাদেশের অধিকার। এ মতানৈক্যের অবসান ঘটাতে চায় ঢাকা ও দিল্লি। এ ছাড়া ভারত-বাংলাদেশের যে অভিন্ন ৫৪টি নদী রয়েছে সেগুলো নিয়েও দুদেশের মধ্যে আলোচনা হবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরকালে।
কিছুদিন আগে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, শুধু তিস্তা নয়, ভারত থেকে বয়ে আসা ৫৪টি নদীর জলের ভাগ নিয়েই কথা চলছে। প্রধানমন্ত্রী জানান, সবচেয়ে বড় নদী গঙ্গার পানি ভাগ নিয়ে চুক্তি এই আওয়ামী লীগ আমলেই হয়েছে এটা ভুললে চলবে না।
দিল্লিতে নতুন প্রতিরক্ষা চুক্তিতে স্বাক্ষর করবেন শেখ হাসিনা। ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী মনোহর গোপালকৃষ্ণ প্রভু পারিকর ১৯ সদস্যের প্রতিনিধি দল নিয়ে ১ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সফর করেন। সেখানে নতুন প্রতিরক্ষা চুক্তির ব্যাপারে আলোচনা হয়। তবে তিস্তা নিয়ে দৃশ্যত কোনো অগ্রগতি না হলে প্রধানমন্ত্রীর দিল্লি সফর ফেব্রুয়ারিতেও পেছাবে বলে কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে।
বর্তমান পরিস্থিতিতে তিস্তা চুক্তি হওয়ার আশা খুব বেশি নেই। তারপরও এই সফরে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি চাইছেন শেখ হাসিনা। চুক্তির একটি কাঠামোর বিষয়ে আলোচনা শুরু ও এ বিষয়ে বলার মতো অগ্রগতি চায় ঢাকা। এই নিশ্চয়তা না পাওয়া পর্যন্ত ভারত সফরে যেতে ইচ্ছুক নন শেখ হাসিনা। প্রসঙ্গত, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেদ্র মোদির আমন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই রাষ্ট্রীয় সফর।
এক সময়ের স্রোতস্বিনী তিস্তা এখন কোটি মানুষের দুঃখ। উজানে তিস্তার ওপর বাঁধ দিয়ে বছরের পর বছর বিভিন্ন ক্যানেলের মাধ্যমে স্রোত ঘুরিয়ে গতিপ্রবাহ রোধ করা হয়েছে। এছাড়া বর্ষার ভাঙনে নিঃস্ব লাখো পরিবার। শুষ্ক মৌসুমে থাকে না প্রয়োজনীয় সেচের পানি। তিস্তার বুকে গজলডোবা নামক স্থানে যে বাঁধ করা হয়েছে তার মাধ্যমে সব পানি ধরে রাখা সম্ভব। এর বাইরে রয়েছে উপনদীগুলোয় একাধিক বাঁধ। তিস্তার পানির অভাবে দেশের উত্তরাঞ্চল দিনদিন মরুভূমি হয়ে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও বিষয়টির গুরুত্ব অনুধাবন করছেন। এর জন্য তিস্তা চুক্তির ব্যাপারে তার সরকার অত্যধিক জোর দিচ্ছে।
তিস্তা চুক্তির ব্যাপারে শেখ হাসিনার রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতার বিষয়টি জানানো হয়েছে নয়াদিল্লিকে। ভারতের জলসম্পদ প্রতিমন্ত্রী সঞ্জীব কুমার বালিয়ান লোকসভায় জানান, তিস্তা চুক্তির বিষয়ে ভারত সরকার উদ্যোগী। সব পক্ষের স্বার্থ রক্ষা করে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য সমাধান সূত্র খুঁজে বের করার চেষ্টা হচ্ছে।