খালেদা জিয়ার জামিন রোববার পর্যন্ত স্থগিত

মার্চ ১৭, ২০১৮
Spread the love

আয়না২৪

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন আগামী রোববার পর্যন্ত স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ।  প্রধান বিচারপতির নেতৃত্ব চার সদস্যের বেঞ্চ আজ সকালে এ রায় দিয়েছে। একই সঙ্গে এ সময়ের মধ্যে সরকার ও দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) পক্ষকে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে নিয়মিত লিভ টু আপিল করতে বলা হয়েছে। ওইদিন পরবর্তী শুনানি অনুষ্ঠিত হতে পারে।

গত বুধবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বিভাগ এই আদেশ দেন। এর আগে খালেদা জিয়ার জামিন স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্র ও দুদক আলাদাভাবে চেম্বার জজ আদালতে দুটি আবেদন করেন। শুনানি শেষে চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী কোনো আদেশ না দিয়ে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন।

খালেদা জিয়ার জামিনের বিষয়ে আপিল বিভাগের এ আদেশের ফলে তিনি রোববার পর্যন্ত কারামুক্ত হতে পারছেন না।

দুপুরে চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর আদালতে আবেদন দুটির ওপর শুনানি হয়। শুনানি শেষে জামিন স্থগিত না করে আবেদন দুটি বুধবার আপিল বিভাগের প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠিয়ে দেন।

খালেদা জিয়ার আইনজীবী অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন এসব তথ্য জানান

এদিকে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম সাংবাদিকদের বলেন, কুমিল্লায় গাড়ি পোড়ানোর মামলায় কাস্টডি ওয়ারেন্ট দেয়া আছে। সেই মামলায় তিনি (খালেদা জিয়া) জেলে আছেন ধরতে হবে। কাজেই ওই মামলায় জামিন না নিয়ে কারাগার থেকে বের হওয়ার কোনো অবকাশ নেই।

খালেদা জিয়াকে চার মাসের জামিন দিয়ে হাইকোর্ট এ সময়ের মধ্যে আপিল শুনানির জন্য সংশ্লিষ্ট শাখাকে পেপারবুক প্রস্তুত করতে নির্দেশ দেন আদালত। পেপর বুক প্রস্তুত হয়ে গেলে যেকোনো পক্ষ শুনানির জন্য আপিল উপস্থাপন করতে পারবে।

গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছর এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ পাঁচজনকে ১০ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেন বিচারিক আদালত। ছয় আসামির সবাইকে ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা ৮০ পয়সা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়। রায়ের পর থেকে নাজিমুদ্দিন রোডের পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে আছেন খালেদা জিয়া।

যেসব যুক্তি আমলে নিয়ে খালেদা জিয়ার জামিন মঞ্জুর করেন হাইকোর্ট, সেগুলো হলো সাজার পরিমাণ, মামলাটি বিচারিক আদালতের নথি এসেছে, আপিল শুনানির জন্য পেপার বুক তৈরি হয়নি, বিচারিক আদালতে মামলা চলাকালে তিনি নিয়মিত আদালতে হাজিরা দিয়েছেন, তিনি জামিনে ছিলেন ও জামিনের অপব্যবহার করেননি এবং তার বয়স ও শারীরিক অসুস্থতার বিষয়।