আয়না২৪ প্রতিবেদন
বরিশালের কীর্তনখোলা নদী সংলগ্ন সাহেবেরহাট দুটি স্প্রীডবোটের সংঘর্ষে গৃহবধূ নিহত ও তাঁর শিশু মেয়ে নিখোঁজ রয়েছে। নিহত গৃহবধূ নাসপতি বেগম (৪৫) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অর্থপেডিক বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক গোলাম সরোয়ারের স্ত্রী। তাঁদের মেয়ে নিখোঁজ সাইরী আক্তারকে (১২) উদ্ধারে অভিযান চলছে। দুর্ঘটনায় শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অপর এক চিকিৎসক প্রদীপ কুমার আহত হন।
শুক্রবার রাত পৌনে ৮ টার দিকে কীর্তনখোলা নদী-সংলগ্ন সাহেবেরহাট চ্যানেলের কড়ইতলা এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। চিকিৎসক গোলাম সরোয়ারের বাড়ি বরগুনা সদর উপজেলায়।
নাসপতি বেগমের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন নগরীর বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুল আলম। তিনি জানান, শুক্রবার রাতে বরিশাল থেকে ভোলাগামী এবং বিপরীত দিক ভোলা থেকে আসা যাত্রীবাহী দুটি স্পিডবোটের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এসময় অন্য যাত্রীরা সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও সাইরী নামে এক শিশু নিখোঁজ রয়েছে। তাকে উদ্ধারের জন্য ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের তৎপরতা চলছে।
প্রত্যক্ষদর্শী কয়েক ব্যক্তি জানান, দুর্ঘটনার পর বরিশাল থেকে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল রাত ৯ টার দিকে ঘটনাস্থলে যায় এবং উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করে। তাঁরা নাসপতি বেগমকে উদ্ধার করেন। নিখোঁজ সাইরী আক্তারকে উদ্ধারের জন্য অভিযান অব্যাহত রেখেছেন ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা।
বরিশাল সদর ফায়ার স্টেশনের স্টেশন কর্মকর্তা দেবাশীষ বিশ্বাস নাসপতি বেগমের মৃত্যু ও শিশু সাইরীর নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিৎ করে বলেন, নিখোঁজ শিশুটিকে উদ্ধারের জন্য আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে।
পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সূত্র জানায়, চিকিৎসক গোলাম সরোয়ার তাঁর স্ত্রী ও মেয়েসহ পাঁচজনকে নিয়ে একটি স্পীডবোট ভাড়ায় নিয়ে ভোলা থেকে বরিশাল আসছিলেন। অপরদিকে বরিশাল থেকে আটজন যাত্রী নিয়ে অপর একটি স্পীডবোট ভোলার উদ্দেশে যাচ্ছিল। রাত পৌনে ৮ টার দিকে বরিশালের কীর্তখোলা নদী-সংলগ্ন সাহেবেরহাট চ্যানেলে দুটি স্পীডবোটের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলে নেসপতি বেগম নিহত হন এবং মেয়ে সাইরী আক্তার নিখোঁজ হয়। অপর যাত্রীরা সাঁতরে কিনারে উঠতে সক্ষম হন।