আয়না২৪ ডেস্ক
নেপালে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় আহত কবির হোসেন ঢাকা মেডিকেলের কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন। কবির হোসেনের শারীরিক অবস্থা সংকটাপন্ন। তিনি ঠিকমতো নিঃশ্বাস নিতে পারছিলেন না। তাই গতকাল শুক্রবার রাত ৯টার দিকে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে লাইফ সাপোর্ট দেওয়া হয়। কবীর হোসেনকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাতে তাঁকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। ১৯ মার্চ তাঁকে নেপাল থেকে বাংলাদেশে আনা হয়।
বার্ন ইউনিটের চিকিৎসক অধ্যাপক ড. আবুল কালাম আজাদ জানিয়েছেন, কবিরের শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ার কারণে তাকে লাইফ সাপোর্ট দেওয়া হয়েছে। আজ মেডিকেল বোর্ডের মিটিংয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এর আগে প্লেন দুর্ঘটনায় আহতদের চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সদস্য অর্থপেডিক সার্জারি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. মো. শামসুজ্জামান বলেন, আহত কবির হোসেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের পুরনো ভবনের নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (আইসিইউ) আছেন। তার শরীরের জখম থাকা বিভিন্ন স্থানে পচন ধরেছে। ছোটখাটো সার্জারি করা হলেও বড় ধরনের সার্জারি করার মতো অবস্থা তার নেই।
গত ১২ মার্চ কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন বিমানবন্দরে ইউএস-বাংলার ড্যাস ৮ কিউ ৪০০ উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় ৪ ক্রুসহ বিমানের ৭১ জনের সবাই হতাহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ২৬ বাংলাদেশি, ২২ নেপালি, ১ জন চীনাসহ ৪৯ জন নিহত হন। আর ১০ বাংলাদেশি, ৯ নেপালি, ১ মালদ্বীপের নাগরিকসহ ২০ জন আহত হন। আহত ১০ বাংলাদেশির মধ্যে মেহেদী হাসান, সৈয়দ কামরুন্নাহার স্বর্ণা, আলমুন নাহার অ্যানি, শেখ রাশেদ রুবায়েত ও শাহরিন আহমেদ বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল চিকিৎসাধীন।
এ দুর্ঘটনায় ৩৬ বাংলাদেশির মধ্যে ২৬ জন মারা যান। আহত হন ১০ জন। নিহতদের স্মরণে ১৫ মার্চ দেশে রাষ্ট্রীয়ভাবে শোক পালন করা হয়।
আহত দশজনের মধ্যে গত ১৫ মার্চ প্রথম আহত শেহরিন আহমেদকে নেপাল থেকে ঢাকায় আনা হয়। পরে তাকে ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। ১৬ মার্চ মেহেদী হাসান, সৈয়দা কামরুন্নাহার স্বর্ণা ও আলিমুন নাহার অ্যানিকে ঢাকায় এনে ঢামেকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ১৭ মার্চ বিকেল ৪টার দিকে ঢামেকে এনে ভর্তি করানো হয় শেখ রাশেদ রেজওয়ানকে। ১৮ মার্চ শাহীন ব্যাপারী ও সবশেষ ১৯ মার্চ বিকেলে ঢামেকে ভর্তি করা হয় আহত কবির হোসেনকে।